কলকাতা: তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) মঙ্গলবার সকালে একটি টুইট করে জানান, শতরূপ ঘোষ (Shatarup Ghosh) সম্প্রতি ২২ লক্ষ টাকার একটি গাড়ি কিনেছেন। সিপিএমের সর্বক্ষণের কর্মী (Holtimer Worker) হয়েও কীভাবে এত দামি গাড়ি তিনি কিনলেন, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হন কুণাল। নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) দেওয়া শতরূপের সম্পত্তির হিসাবও টুইটারে পোস্ট করেছেন তৃণমূলের মুখপাত্র।
আলিমুদ্দিন স্ট্রিট থেকে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের প্রশ্নের জবাব দিলেন তিনি। প্রকাশ্যে আনলেন এই টাকার উৎসও। তিনি জানান, গাড়ি তাঁর নামে কেনা হলেও গাড়ির দাম দিয়েছেন তাঁর বাবা শিবনাথ ঘোষ। কিছু টাকা নগদে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি। এমনকী সাংবাদিকদের সামনে খরচের রসিদ দেখিয়েছেন সিপিএম নেতা শতরূপ। কোন ব্যাঙ্ক থেকে কত টাকা খরচ করা হয়েছে, সব কিছুর হিসাব দিয়েছেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য, এরপরও যদি গাড়ির খরচের বিষয়ে কোনও অনিয়ম হয় তাহলে শাসকদল আইনি পদক্ষেপ নিতে পারে। তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, তিনি কার টাকায় গাড়ি কিনবেন, সেটা তৃণমূল ঠিক করে দেবে না।
এদিন সকালে কুণাল তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে শতরূপকে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি নথি প্রকাশ করে দেখিয়েছিলেন, হলফনামা অনুযায়ী, ওই নির্বাচনে কসবার সিপিএম প্রার্থী শতরূপের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ২ লক্ষ টাকার কিছু বেশি। তাহলে কীভাবে তিনি এতো দামী গাড়ি কিনতে পারেন।
এদিন শতরূপ বলেন, কেন্দ্রের যেমন আয়কর দফতর ও ইডি রয়েছে, তেমনই রাজ্যের হাতেও ইকোনমিক অফেন্স উইং বলে একটি সংস্থা রয়েছে। যদি কোথাও টাকা পয়সা নিয়ে কোনও সন্দেহ থাকে তাদের, তাহলে সোশ্যাল মিডিয়ায় না বলে সেই সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করাতে পারে।
যদিও শতরূপের বিরুদ্ধে কুণালের মূল অভিযোগ নীতিগত প্রশ্নে। শতরূপ মার্কসবাদ, লেনিনবাদে বিশ্বাসী সর্বহারাদের দলের নেতা। তিনি কোন নীতিতে ২২ লাখ টাকা দামের গাড়ি চড়েন? এ প্রশ্নও তোলেনন কুণাল। তবে এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন। এর আগে কুণাল সিপিএমের আর এক নেতা সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীর চাকরির প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তৃণমূলের তরফে একটি চিঠির প্রতিলিপি প্রকাশ করে দাবি করা হয়, পরীক্ষা দিয়ে নয়, চিরকূটের মাধ্যমে বেআইনি ভাবে চাকরি পেয়েছিলেন সুজনের স্ত্রী।