কলকাতা: ফের কর্মবিরতির (Strike) ডাক সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Chief Minister Mamata Banerjee) চরম অপমানজনক মন্তব্যের প্রতিবাদে ৬ এপ্রিল সমস্ত সরকারি অফিসে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মবিরতি (Strike) পালন করা হবে বলে বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন মঞ্চেল আহ্বায়ক ভাস্কর ঘোষ (Bhaskar Ghosh)। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামিকাল শুক্রবার জেলায় জেলায় ধিক্কার দিবস পালন করবেন সরকারি কর্মীরা। ১০ এপ্রিল দিল্লির যন্তর মন্তরে (Jantar Mantar in Delhi) হবে ধরনা (Dharna)। সে দিনই রাষ্ট্রপতি (President) এবং কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীকে (Union Education Minister) ডেপুটেশন দেওয়া হবে। ভাস্কর জানান, এর পর ৪৮ ঘণ্টা ধর্মঘটেরও প্রস্তুতি চলছে। আগামিদিনে কালীঘাটে হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মিছিল করাও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বুধবার রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলনকে তীব্র কটাক্ষ করে ছিলেন। শহীদ মিনার ময়দান চত্বরে অবস্থানকারী কর্মীদের উদ্দেশে তিনি মন্তব্য করেন, সব চোর ডাকাতরা বসে আছে ওখানে। বৃহস্পতিবারও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যারা ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন করছেন, তাদের চাকরি হয়েছে চিরকূটে।
আরও পড়ুন: Kunal Ghosh | শতরূপকে আইনি নোটিস কুণালের, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষমা না চাইলে মামলা
বৃহস্পতিবার গণছুটি নিয়ে সরকারি কর্মচারীরা শহীদ মিনার ময়দান চত্বরে সমাবেশে শামিল হন। হাওড়া (Howrah) এবং শিয়ালদহ স্টেশন (Sealdah Station) থেকে দুটি বিশাল মিছিল আসে ময়দানে। এই মিছিলের জন্য মধ্য কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা বেশ কিছু সময়ের জন্য অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। মিছিলকারীরা রাস্তাতেই বসে পড়েন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের জেরে মিছিল এবং সমাবেশের মেজাজও ছিল এদিন বেশ চড়া। মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কীভাবে সরকারি কর্মচারিদের চোর-ডাকাত বলতে পারেন মিছিল থেকে প্রশ্ন তুলল আন্দোকারীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও চোর চোর স্লোগান ওঠে মিছিল থেকে। ময়দানের সমাবেশে ভাষণ দেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (CPM State Secretary Mohammad Saleem), সুজন চক্রবর্তী (Sujan Chakraborty), আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য (Lawyer Bikasaranjan Bhattacharya), কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী (Congress leader Kaustab Bagchi), এসইউসি নেতা চন্ডীচরণ ভট্টাচার্য (SUC leader Chandicharan Bhattacharya), রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Opposition leader Subhendu Adhikari) সহ প্রমূখ। তাঁরা সকলে কর্মচারীদের আন্দোলনের পাশে থাকার বার্তা দেন।মহম্মদ সেলিম বলেন, রেড রোডে যে তামাশা চলছে তার প্রতি ধিক্কার জানাতে এসেছি। আদালত বলেছে ডিএ সরকারি কর্মীদের ন্যায অধিকার। কোনও অনুদান নয়। আপনাদের আন্দোলন সফল হবেই, আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন বিকাশরঞ্জন। সব বিরোধী দলের সমাবেশকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি শাসক তৃণমূল। রেড রোডের ধরনা মঞ্চ থেকে রামধনু জোট বলে ব্যঙ্গ করা হয় সরকারি কর্মচারীদের অবস্থান আন্দোলনকে। সরকারি কর্মচারীরা গণছুটি নেওয়ায় এদিন জেলায় জেলায় সরকারি কাজকর্ম ব্যাহত হয়।