বোলপুর: এবার সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) গাড়ির চালক তুফান মির্ধা এবং অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) চার্টার্ড একাউন্টেন্ট (Chartered Accountant) মনিস কোঠারির অ্যাসিস্ট্যান্ট দেবজ্যোতি দাসকে তলব করল ইডি (Enforcement Directorate)। এদিন তুফান ও দেবজ্যোতির কাছে ইডির তলবের চিঠি এসে পৌঁছেছে। চলতি সপ্তাহে ইডির সদর দফতর দিল্লিতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ।
সুকন্যার গাড়িচালক তুফান মৃর্ধা বোলপুর পুরসভার কালিকাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মনিশ কোঠারির অ্যাসিস্ট্যান্ট দেবজ্যোতি দাসের বাড়ি বোলপুর পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের হরগৌলিতলায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এদিন এই দুজনের কাছেই পোষ্টের মাধ্যমে চিঠি পৌঁছেছে।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর পরই তদন্তকারীদের জালে তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের নাম উঠে আসে। সুকন্যা স্থানীয় এক স্কুলের শিক্ষিকা। অথচ তিনি স্কুলে যেতেনই না বলে সূত্রে খবর। কীভাবে তিনি চাকরি পেলেন তা নিয়েও যেমন প্রশ্ন ওঠে আসে। পাশাপাশি তিনি বিপুল সম্পত্তির মালিক। কীভাবে তিনি এত সম্পত্তির মালকিন হলেন সে প্রশ্ন বারবার উঠে আসে। এ ব্যাপারে ইডি তদন্ত শুরু করে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে সুকন্যাকে। ইডি তাঁকে দিল্লিতেও ডেকে পাঠায়। অনুব্রত দিল্লি যাওয়ার আগে একবার তিনি দিল্লিতে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন। তবে এরপর একাধিকবার ইডি তাঁকে তলব করেছে, কিন্তু তিনি তা বারবার এড়িয়ে যাচ্ছেন।
আরও পড়ুন: Kajal Sheikh | ফের বিতর্কিত মন্তব্য কাজল শেখের, কী বললেন জেনে নিন
উল্লেখ্য, ইডির অফিসাররা সুকন্যা ও কেষ্টকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান, তার অন্যতম একটি কারণ, এর আগে সুকন্যা নিজের বয়ানে সব দায় ঝেড়ে ফেলতে চেয়েছিলেন। সূত্রের খবর, তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর নামে থাকা সম্পত্তি, চালকল, টাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। তাঁর বাবা সব জানেন বলে জানিয়েছিলেন। সেই বয়ান কতটা সত্যি ছিল তা জানার জন্যই এই মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি।