বেলঘরিয়া: বেলঘরিয়ায় (Belghoria) অটো চালকদের ওপর মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার (Arrest) দুই। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা রানা বিশ্বাসের দুই সাগরেদ ইন্দ্রজিৎ মহান্তি ও অক্ষয় শর্মাকে গ্রেফতার করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ (Police)। এরা দুইজনই বেলঘড়িয়া ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা এবং ওই ওয়ার্ডেরই তৃণমূল কর্মী। রবিবার অভিযুক্তদের ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে।
তোলাবাজিকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে (TMC Inner Clash) উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলঘরিয়া (Belghoria) এলাকা। কামারহাটি পুরসভার ২০ নম্বর এলাকার স্থানীয় এক অটোচালক ও তার দুই বন্ধুকে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনায় আহত হয়েছেন তিন যুবক। আহত যুবকরা প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী বলে জানা গিয়েছে। তিনজনের মধ্যে দুজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগর দত্ত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত যুবকদের পরিবারের লোকজন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা রানা বিশ্বাসের নামে বেলঘরিয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ, দীর্ঘদিন থেকেই তাঁদের ছেলেদের কাছ থেকে টাকা চেয়ে আসছিল অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা। তা না পাওয়াতেই রাগে এই কাণ্ড ঘটেছে। শুধু মারধর নয়, ওই অটোচালক ও তাঁর বন্ধুদের ফেসবুক লাইভ করে সালিশি সভা বসানোরও অভিযোগ সামনে এসেছে।
আরও পড়ুন:Basirhat | পঞ্চায়েত ভোটের মুখে সিপিএম-তৃণমূল-বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ
ক্যামেরার সামনে কিছু না বললেও গোটা ঘটনা অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদ নেতা রানা বিশ্বাস। একইসঙ্গে গোটা ঘটনায় মুখ খুলতে নারাজ এলাকার তৃণমূল নেতারা। ঘটনায় সরব হয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। শাসকদলের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে বিজেপি নেতা কিশোর করর বলেন, “এই ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ও নিন্দনীয়। তৃণমূলের নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী সংঘর্ষ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় হচ্ছে। কামারহাটি কেন এর থেকে বাদ যাবে? আমরা চাই প্রশাসন দোষীদের বিরুদ্ধে যেন উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতাকে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।