নয়াদিল্লি: দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় (Excise Policy Scam) সিবিআই নোটিস দিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে (Delhi Chief Minister Kejriwal )। সিবিআইয়ের তলব পেয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে সরব হলেন তিনি। শনিবার তিনি সিবিআই ও ইডিকে নিশানা করে বলেন, কোনওরকম তথ্যপ্রমাণ ছাড়াই আদালতে মিথ্যা কথা বলছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। বিতর্কের মুখে আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেন, আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা করবে। কোর্টে মিথ্যা তথ্যপ্রমাণ দেওযার জন্য (Accusing the CBI and the ED of filing false affidavits) এই মামলা করা হবে।
কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) অভিযোগ তোলেন, মিথ্যা অভিযোগ স্বীকার করে নেওয়ার জন্য অভিযুক্তদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে সিবিআই। কেজরিওয়াল বলেন, আমি যদি প্রমাণ ছাড়াই বলি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়েছি, তাহলেও কি আমায় গ্রেফতার করা হবে? উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই জাতীয় দলের তকমা পাওয়ার পরে দলীয় কর্মীদের জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হতে বলেছিলেন কেজরিওয়াল। এই মামলায় দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া আগেই গ্রেফতার হয়েছেন সিবিআইয়ের হাতে।
আরও পড়ুন: Crime News | মুখ ঢেকে পার্টি অফিসে ঢুকে বিজেপি নেতাকে গুলি করে খুন
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি দুর্নীতিগ্রস্ত হলে এই পৃথিবীতে কেউ সৎ নয়। আমি সিবিআইয়ের সামনে হাজিরা দেব। দেশে আশার আলো হিসেবে উঠে এসেছে আপ। সেজন্য আমাদের টার্গেট করা হয়েছে। ৭৫ বছরে এত টার্গেট আর কোনও রাজনৈতিক দল হয়নি। এদিন তিনি বলেন, আগামিকাল সিবিআই আমাকে ডেকেছে। আমি অবশ্যই যাব। বিজেপি নেতারা সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হবে। যদি বিজেপি সিবিআইকে অর্ডার দিয়ে থাকে আমাকে গ্রেফতার করার, সিবিআই অবশ্যই তা মেনে চলুক। তিনি বলেন, তথ্য প্রমাণ লোপাটের জন্য মণীশ সিসোদিয়া নাকি ১৪টি মোবাইল ফোন নষ্ট করেছেন। এসব অবাস্তব প্রচার চালানো হচ্ছে। কেজরিওয়াল আরও বলেন, অভিযোগ ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। তাহলে সেই টাকা কোথায়। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৪০০-র বেশি অভিযান চালিয়েছে। কিন্তু কোথাও টাকা পায়নি। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমি বিধানসভায় মোদি আদানি সম্পর্কের কথা বলার পর থেকেই বলা হচ্ছে, আমি নাকি টার্গেট। এরপর আমাকে গ্রেফতার করা হবে। করুক গ্রেফতার।