ওয়াশিংটন: চরম অর্থসঙ্কটে ভোগা পাকিস্তান (Pakistan) তাদের তথাকথিত বন্ধুদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের (United States of America – USA) কাছে আহ্বান জানিয়েছে সামরিক অর্থায়ন এবং বিক্রি (Military Financing and Sales) পুনরায় শুরু করার জন্য। বর্তমানে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। তার আগে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump, Former America President)। তাঁর আমলে পাকিস্তানকে সামরিক অর্থ সাহায্য এবং বিদেশি বিক্রির বিষয়টিতে স্থগিতাদেশ (Suspension) এনেছিল। আমেরিকায় ক্ষমতা বদল হয়ে বাইডেন প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে বসলেও, সেই স্থগিতাদেশ এখনও তোলা হয়নি। মার্কিন প্রশাসনকে আর্জি জানানোর এই বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ডন (Dawn) রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তারপর থেকে আন্তর্জাতিক মহলে এই নিয়ে জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ভাষণ দেওয়ার সময় সেদেশ উপস্থিত পাক রাষ্ট্রদূত মাসুদ খান (Pakistan’s Envoy to US Masood Khan) বলেছেন, “পাকিস্তানের জন্য এখন ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ, পূর্বেকার আমেরিকান প্রশাসন (US Administration) যে বিদেশি সামরিক অর্থায়ন এবং বিদেশি সামরিক বিক্রি স্থগিত রেখেছিল, বর্তমান মার্কিন প্রশাসন তা যেন পুনরায় শুরু করে।”
আরও পড়ুন: Climate Change | জলবায়ু পরিবর্তনে ভারতে ঝুঁকি বাড়ছে মারণ ভাইরাসের, জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা
আন্তর্জাতিক মহলের বক্তব্য, আফগানিস্তান (Afghanistan) থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সেনা প্রত্যাহার (Withdrawal of Troops) করে নেওয়ার পর আমেরিকা-পাকিস্তান সম্পর্ক একটি জায়গায় এসে থেমে গিয়েছে। পূর্বেকার সুসম্পর্ক আর নেই দুই দেশের মধ্যে। বর্তমানে আমেরিকা এবং চীনের (China) মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছে। চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠতার আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত। এই অবস্থায় পাকিস্তানের সঙ্গে আমেরিকায় দ্বিপাক্ষিক ও বৈদেশিক সম্পর্কে (Bilateral and Foreign Relation) দূরত্ব তৈরি হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর আগের মতো পাশে নেই পাকিস্তানের। পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে এই বিষয়টি পাকিস্তানের অর্থনীতির উপরেও প্রভাব ফেলেছে।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট বলছে, দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার জন্য নিযুক্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি এলিজাবেথ হর্স্ট (Elizabeth Horst, US Principal Deputy Assistant Secretary of State for South and Central Asia) এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ইসলামাবাদ (Islamabad) তরফে অনুরোধ পাওয়ার পর তিনি আশ্বাস দিয়েছেন পাকিস্তানের অর্থনীতি ফেরাতে আমেরিকা সাহায্যে করবে এবং আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (International Monetary Fund -IMF) সঙ্গে একযোগে কাজ করার জন্যও পাকিস্তানকে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এলিজাবেথ হর্স্টের বক্তব্য, পাকিস্তান এবং আইএমএফ যে সংস্কারের বিষয়ে সম্মত হয়েছে, তা অত সহজ নয়। কিন্তু দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা মজবুত করার জন্য সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ গ্রহণ করা পাকিস্তানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। নাহলে পাকিস্তানের উপর ঋণের বোঝা (Debt) আরও বাড়বে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও (Economical Growth) হবে না। ওয়াশিটন তরফে ইসলামাবাদকে আর্জি জানানো হয়েছে, কঠোর সংস্কারের (Tough Reforms) পদক্ষেপ নিতে।