আমেদাবাদ: গুজরাত হাইকোর্টে শনিবারও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর মানহানি মামলার ফয়সালা হল না। নিম্ন আদালতের রায়ে কেন স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে, তা জানতে চেয়ে রাহুলকে হলফনামা দিতে বলল গুজরাত হাইকোর্ট। মামলার পরবর্তী শুনানি ২ মে।
এদিন রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি স্থগিতাদেশের পক্ষে ছয় দফা কারণ দেখান। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী এমন কোনও ভয়ঙ্কর অপরাধ করেননি, যার জন্য তাঁর দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে। মামলার গোটা প্রক্রিয়াই খুব ক্ষিপ্র গতিতে হয়েছে। বিচারপতি হিমন্ত প্রচ্ছক আইনজীবীকে এ ব্যাপারে হলফনামা দিতে বলেন ২ মে। সেদিনই পরবর্তী শুনানি।
২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে এক সভায় রাহুল গান্ধী প্রশ্ন তুলেছিলেন, সব চোরেদের পদবি কেন মোদি হয়। তা নিয়ে গুজরাতের সুরাতের বিজেপি বিধায়ক পূর্ণেশ মোদি রাহুলের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। তাঁর আবেদনে বলা হয়, রাহুল এই কথা বলে দেশের মোদি সম্প্রদায়কে অপমান করেছেন। দেশে ১৩ কোটি মোদি পদবিধারী রয়েছেন। তাঁদের সকলের মানহানি হয়েছে এতে।
গত ২৩ মার্চ গুজরাতের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট রাহুলকে দুই বছরের জন্য কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। তারপরই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যায়। লোকসভার সচিবালয় তুঘলক রোডে সরকারি বাংলো এক মাসের মধ্যে ছেড়ে দেওযার জন্য নোটিস দেয়। সেই সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই রাহুল বাংলো ছেড়ে মায়ের কাছে চলে যান।
ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাহুল নগর দায়রা আদালতে আপিল করেন। সেই আদালতও রাহুলের আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে রাহুল গুজরাত হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টের বিচারপতি গীতা গোপী মামলা শুনতেই চাননি। তিনি প্রধান বিচারপতিকে অন্য কোনও বিচারপতির এজলাসে ওই মামলা দিতে বলেন। শনিবার বিচারপতি হিমন্ত প্রচ্ছকের এজলাসে মামলা ওঠে শুনানির জন্য। সেখানে রাহুলের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দীর্ঘ সওয়াল করেন। তিনি বলেন, রাহুল গান্ধী পূর্ণেশ মোদির নামই করেননি। তাহলে কোন যুক্তিতে পূর্ণেশ মামলা করলেন। নীরব মোদি, ললিত মোদি-সহ যাঁদের নাম রাহুল করেছিলেন, তাঁরা মামলা করলে না হয় বোঝা যেত। শুনানি শেষে বিচারপতি জানান, কেন নিম্ন আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ চাওয়া হচ্ছে, তা হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে।