বেঙ্গালুরু: জনপ্রিয় অনলাইল এডুকেশন পোর্টাল বাইজু’স (Byju’s, Popular Online Education Portal)-এর একাধিক অফিসে শনিবার তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate – ED)। বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত তিনটি অফিসে তল্লাশি চলাকালীন বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বহু অপরাধমূলক নথি এবং ডিজিটাল ডেটা (Incriminating Documents and Digital Data)। অনলাইন এডুকেশন পোর্টাল বাইজু’স-এর পেরেন্ট কোম্পানি হলো থিঙ্ক অ্যান্ড লার্ন প্রাইভেট লিমিটেড (Think & Learn Private Limited)। এই সংস্থা এবং তার কর্ণধার রবীন্দ্রন বাইজু (Raveendaran Byju)-র বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্চ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্ট, সংক্ষেপে ফেমা (Foreign Exchange Management Act – FEMA) আইনের আওতায় একটি মামলা দায়ের করা রয়েছে। সেই মামলার জেরেই ইডি এই তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে।
ইডি আধিকারিকরা এবিষয়ে জানিয়েছেন, “ফেমা অনুসন্ধানে (FEMA searches) তথ্য সামনে এসেছে, ২০১১ থেকে ২০২৩ সময়পর্বে সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (Foreign Direct Investment) হিসেবে ২৮,০০০ কোটি টাকা পেয়েছে। এছাড়া, সংশ্লিষ্ট সময়পর্বে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (Overseas Direct Investment) অছিলায় বিভিন্ন বিদেশি বিচারাব্যবস্থার অধীনস্থ (Various Foreign Jurisdictions) সংস্থায় ৯৭৫৪ কোটি টাকা পাঠিয়েছে (Remit)।”
আরও পড়ুন: Narendra Modi | কংগ্রেস ৯১ বার আমাকে আক্রমণ করেছে, কর্নাটকে নির্বাচনী প্রচারে অভিযোগ মোদির
ইডি আধিকারিকদের (ED Officials) দেওয়া তথ্য অনুসারে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধে ৯৪৪ কোটি টাকা সরানোর অভিযোগ রয়েছে। বিদেশি বিচারব্যবস্থার অধীনস্থ স্থানে বিজ্ঞাপন এবং বিপণন খরচ বাবদ ওই টাকা পাঠানো হয়েছে। শুধু তাই নয় ২০২০-২১ অর্থবর্ষ থেকে আর্থিক বিবৃতিও (Financial Statement) তৈরি করেনি এবং বাধ্যতামূলক হিসেবে প্রযোজ্য অ্যাকাউন্ট নীরিক্ষণ বা অডিটও (Accounts Audit) করা হয়নি। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এটাও বলা হয়েছে, কোম্পানি তরফে যে পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে, তার সত্যতা জানার জন্য ব্যাঙ্কগুলিকে দিয়ে ক্রস এগজামিন (Cross Examine) করা হয়েছে।
রবীন্দ্রন বাইজু’র সংস্থার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যক্তি একাধিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। তারই ভিত্তিতে এই অনুলাইন এডুকেশন প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে তদন্ত চালানো হয়েছে। তদন্ত চলাকালীন ইডি একাধিকবাব সমন (Summon) পাঠিয়েছে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও (Founder and CEO) রবীন্দ্রের বিরুজ্ঝে। কিন্তু বারবারই তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছেন এবং হাজিরা দিতে যাননি।
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের তল্লাশির পর বাইজু’র আইনি দলের (Byju’s Legal Team) মুখপাত্র বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এটি ফেমার অধীনে রুটিন অনুসন্ধান (Routine Inquiry Under FEMA) ছিল। সংস্থা সূত্রে এটাই দাবি করা হয়েছে, স্বচ্ছতার (Transparency) সঙ্গেই তদন্তকারী সংস্থাকে যাবতীয় তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও একই রকমভাবে সহয়োগিতা করা হবে।