নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (Intelligence Bureau) আপত্তি সত্ত্বেও আইনজীবী ফিরদোস ফিরোজ পুনিওয়ালাকে (Firdosh Phiroze Pooniwalla) বোম্বে হাইকোর্টের (Bombay High Court) বিচারপতি হিসেবে নিয়োগে সুপারিশ করল সুপ্রিম কোর্টের কলেজিয়াম (Supreme Court Collegium)। পুনিওয়ালার ক্ষেত্রে সেন্ট্রাল আইবি এর আগে রিপোর্ট দিয়েছিল যে, তিনি এমন এক আইনজীবীর অধীনে কাজ করতেন, যিনি দেশের বাক ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার অভাবের কথা তুলে ধরে একটি নিবন্ধ লিখেছিলেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় (CJI D Y Chandrachud) এবং বিচারপতি এস কে কল ও কে এম জোসেফকে নিয়ে গঠিত কলেজিয়াম জানিয়েছে, পুনিওয়ালাকে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগে তাঁরা একমত এবং তিনি ন্যায্য দাবিদার।
আইবি তাদের রিপোর্টে বলেছে যে, তিনি ব্যক্তিগত এবং পেশাগত হিসেবে অত্যন্ত ভালো মানুষ। তাঁর বিরুদ্ধে কোনও আপত্তিজনক কিছু নেই। পুনিওয়ালা কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও যুক্ত নন। তিনি আগে এক আইনজীবীর অধীনে জুনিয়র হিসেবে কাজ করতেন। যিনি নিবন্ধটি লিখেছিলেন। ফলে কলেজিয়াম মনে করে, যে মনোভাব তাঁর সিনিয়র আইনজীবী প্রকাশ করেছিলেন তার সঙ্গে পুনিওয়ালার দক্ষতা, যোগ্যতার কোনও সম্পর্ক নেই। জুনিয়র কৌঁসুলি মানে মালিক-কর্মচারী সম্পর্ক নয়। জুনিয়র আইনজীবীরাও স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন। স্বাধীন মামলাও করতে পারেন তাঁরা।
আরও পড়ুন: Press Freedom Index | সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মাপকাঠিতে ভারতের বিরাট পতন, বলছে সমীক্ষা
কলেজিয়ামের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আইবি-র ফাইলে তাঁর সম্পর্কে কোনও বিরূপ মন্তব্য নেই যাতে তাঁকে বিচারপতি হিসেবে মনোনয়নে বাধা থাকতে পারে। ফিরোজ পুনিওয়ালার প্রচুর মামলার অভিজ্ঞতা আছে। শুধু তাই নয় কমার্শিয়াল আইনে তিনি একজন বিশেষজ্ঞ। তিনি পারসি অর্থাৎ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। এসব দিক মাথায় রেখে তাঁকে বিচারপতি হিসেবে উন্নীত করার প্রস্তাব রাখা হচ্ছে। কলেজিয়াম মনে করে, পুনিওয়ালা বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি হওয়ার পূর্ণ যোগ্য ব্যক্তি।
একইসঙ্গে কলেজিয়াম আইনজীবী শৈলেশ প্রমোদ ব্রাহ্মী এবং জিতেন্দ্র শান্তিলাল জৈনকেও বোম্ব হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে। অন্যদিকে, বিচারপতি রবিন ফুকন যিনি এতদিন গুজরাত হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে কর্মরত ছিলেন, তাঁকে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগের সুপারিশ করেছে।