পুট্টুর: কর্নাটকের (Karnataka) বিধানসভা নির্বাচন (Assembly Elections) ঠিক এক সপ্তাহ পরেই। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী প্রচার ঘিরে সরগরম ওই রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ কন্নড় জেলার পুট্টুর (Puttur) শহর ফের শিরোনামে উঠে এল নীতি পুলিশির (Moral Policing) ঘটনায়। গতকালই (২ মে) নির্বাচনী ম্যানিফেস্টোতে কংগ্রেস (Congress) জানিয়েছিল, ক্ষমতা এলে রাজ্যে বজরং দলকে (Bajrang Dal) নিষিদ্ধ ঘোষণা করবে তাদের সরকার। এবার সেই বজরং দলের বিরুদ্ধেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের (Minority) এক ছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠল। ভিন্ন সম্প্রদায়ের এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলছিল সে।
১৮ বছর বয়সি দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মহম্মদ ফারিশকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে এক হিন্দু সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে। এখন পুট্টুর সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তার। ফারিশের অভিযোগ, তাকে মারধর করেছে বজরং দলের সদস্যরা। ছাত্রটি বলে, আমার সহপাঠী আমায় ফোন করে এবং আমরা দেখা করি। দু’জনে একটা দোকান থেকে জুস খাচ্ছিলাম। এ সময় ১৫ জন আমাকে ডাক দেয়। আমি বলেছিলাম যে আমরা স্রেফ বন্ধু, তা সত্ত্বেও ওরা তার, লাঠি, তলোয়ার নিয়ে আমায় আক্রমণ করে।
আরও পড়ুন: Press Freedom Index | সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার মাপকাঠিতে ভারতের বিরাট পতন, বলছে সমীক্ষা
এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং তদন্ত চলছে। পুলিশের রিপোর্টে অবশ্য বজরং দলের কোনও নাম নেই। পুলিশ জানিয়েছে, পুট্টুরের কেম্মিঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ ফারিস কাবাকার (Kabaka) সরকারি কলেজের ছাত্র। ভিন্ন ধর্মের একটি মেয়ের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ফলের সরবত খাচ্ছিল। এ সময় এক অটোচালক এবং তার বন্ধুরা ফারিসকে তাদের সঙ্গে যেতে বলে। এরপর তাকে পুট্টুরের শিশুমন্দিরে কাছে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে আপাতত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ১৪৩ (বেআইনি জমায়েতের সদস্য হওয়া), ১৪৭ (দাঙ্গায় দোষী), ১৪৮ (মারাত্মক অস্ত্রসহ দাঙ্গায় দোষী), ৩৬৫ (কাউকে গোপনে এবং অন্যায়ভাবে আবদ্ধ করার অভিপ্রায়ে অপহরণ), ৩২৬ (মারাত্মক অস্ত্র দিয়ে ইচ্ছাকৃত আঘাত করা) এবং ৫০৬ (অপরাধমূলক ভীতিপ্রদর্শন) ধারায় মামলা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, পুট্টুর শহরে গত দু’ এক বছরে একাধিকবার নীতি পুলিশির ঘটনা ঘটেছে।