ঢাকা: মৌসম ভবনের রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশের (Bangladesh) মংলার কাছাকাছি আজ, রবিবার মাঝরাতে আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড়। মংলা থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে এর ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা প্রবল। ল্যান্ডফলের সময় ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ১১০ থেকে ১২০, সর্বোচ্চ ১৩৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ (Cyclone Remal) মোকাবিলায় যৌথ বাহিনী প্রস্তুত রাখছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Government)। উপকূলবাসীর জন্য ৯ হাজার আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৮ লক্ষ মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী মহিবুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঘূর্ণিঝড়ের সম্মুখ ভাগ আঘাত হানবে বাংলাদেশে। উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস ও সারাদেশে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একারণে বঙ্গবন্ধু টানেল আগামীকাল সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। দুর্যোগ এবং ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব থাকা পর্যন্ত ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয় ২৪ ঘন্টা প্রুস্তুত রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দফতরের সমস্ত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দানবীয় ‘রেমাল’, সর্বোচ্চ গতিবেগ কত হতে পারে?
অন্যদিকে, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর সূত্রে খবর, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত জারি করা হয়েছে। রবিবার সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে নতুন করে ৯ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং সংলগ্ন দ্বীপ ও চরগুলি ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।
দেখুন বিস্তারিত