সুন্দরবন: এখন শুধুই প্রতীক্ষার প্রহর গোনা। আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সুন্দরবন উপকূলে আছড়ে পড়তে চলেছে রেমাল (Remal)। এর জন্য বাড়তি সতর্ক সেখানকার প্রশাসন। প্রতিটা ব্লকে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিম ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। ইতিমধ্যে ১২ টা জাতীয় মোকাবিলা দল প্রস্তুত রয়েছে। সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জে বাড়তি নজর রয়েছে সেচ, বিদ্যুৎ, স্বাস্থ্য দফতরের, ৫০ হাজার প্যাকেট পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। স্কুল, বাড়ি ও ত্রাণ শিবিরে কিছু মানুষকে সরানো হয়েছে।
চিন্তায় মাথায় হাত সুন্দরবন এলাকার মানুষের । মানুষকে সতর্ক করার জন্য সুন্দরবনের উপকূলবর্তী এলাকার মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। বিগত দিনে আমফান, আয়লা, বুলবুল এর মতো ঘূর্ণিঝড় চোখের সামনে দেখেছেন সুন্দরবনের প্রান্তিক এলাকার মানুষজন। ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে প্রচুর। বাড়ি ভেঙে পড়েছে। নদীর বাঁধ ভেঙে গ্রামে নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হয়েছে গ্রাম। ক্ষতি হয়েছে চাষের জমি। ক্ষতি হয়েছে মাছের ভেরি। সব মিলিয়ে জর্জরিত হয়ে রয়েছে গোটা সুন্দরবনবাসী। বাড়ি ভেঙে যাওয়ার পরেও সেই বাড়ির তৈরির ক্ষতিপূরণ আজও পায়নি বহু পরিবার। তাই আবার ঘূর্ণিঝড় আশায় চিন্তায় মাথায় হাত প্রত্যন্ত সুন্দরবন এলাকার মানুষের । প্রশাসনের তরফ থেকে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলার জন্য সব রকম প্রস্তুতি সেরে ফেলা হয়েছে, জানিয়েছেন হিঙ্গলগঞ্জের বিডিও। তবুও মানুষের আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না। রাত বাড়লে কী হবে কোথায় যাব, কোথায় থাকব এটাই এখন ভাবাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ফেসবুকে পরিচয়, যুবতীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার দুই
আরও খবর দেখুন