নয়াদিল্লি: কর্নাটকে সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে ফের বিরোধীদের চাঁদের হাট বসতে চলেছে বেঙ্গালুরুতে। বিজেপি বিরোধী প্রায় সব ‘সমমনোভাবাপন্ন’ দলকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছে কংগ্রেস। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খোদ সোনিয়া গান্ধীর বিশেষ নির্দেশে আমন্ত্রণ পাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার, বিজু জনতা দলের নেতা তথা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের আগে বিজেপি বিরোধী দলগুলির ঐক্যের শক্তিপরীক্ষার একটা মহড়া বসতে চলেছে শনিবার, বেঙ্গালুরুতে।
অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রী যেমন, কংগ্রেসের ছত্তিশগড়ের ভূপেশ বাঘেল, রাজস্থানের অশোক গেহলট, হিমাচল প্রদেশের সুখবিন্দর সিং সুখু ছাড়াও ঝাড়খণ্ডের হেমন্ত সোরেন, তামিলনাড়ুর এম কে স্ট্যালিন, তেলঙ্গনার কে চন্দ্রশেখর রাও, পশ্চিমবঙ্গের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের নীতীশ কুমার এবং ওড়িশার নবীন পট্টনায়ক উপস্থিত থাকতে পারেন।
আরও পড়ুন: Egra | BJP | ভগবানপুরে বিজেপির মিছিলে বোমা-গুলি, অভিযোগ তৃণমূলের দিকে
মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও অন্য বিরোধী দলগুলির নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, সপা নেতা অখিলেশপ্রসাদ যাদব, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব এবং ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা প্রমুখ। এ বিষয়ে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা কেসি বেণুগোপাল জানিয়েছেন, ২০ মে, দুপুর সাড়ে ১২টায় শপথ গ্রহণ হবে। সেখানে সমমনোভাবাপন্ন দলগুলিকে আমরা আমন্ত্রণ জানাব। সকলকে স্বাগত জানাই। মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে এই দড়ি টানাটানির ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা স্বৈরতন্ত্রে বিশ্বাস করি না। কংগ্রেস গণতন্ত্রে আস্থা রাখে। সকলের মত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। এই জয়ের নেপথ্যে সকলের সমান অবদান রয়েছে এবং সকলেই কঠিন পরিশ্রম করে এই জয় ছিনিয়ে এনেছেন।
প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন ধরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন তিনি। এছাড়াও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, নবীন পট্টনায়ক, শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে বিরোধী ঐক্য নিয়ে আলোচনা করেছিলেন নীতীশ। প্রায় সকলেই আগামী লোকসভা ভোটে নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন বিজেপির বিরুদ্ধে জোট গঠনে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এবার সেই মহাখেলার মহড়া বসতে চলেছে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে। আপাতত শপথের চেয়েও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখ সেদিকেই।