বাঁকুড়া: মধ্যরাতে লোডশেড়িং হয়ে যাওয়ায় তাণ্ডব চলল বিদ্যুৎ দফতরে। বিনা বাধায় চলল ব্যাপক ভাঙচুর। বাঁকুড়ার সোনামুখী শহরের ঘটনার জেরে এখনও আতঙ্কিত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। বিষয়টি বিদ্যুৎ দফতরের ডিভিশন আধিকারিকদের জানানো হয়েছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তা নিয়ে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
রবিবার মাঝরাতে সোনামুখী শহরে লোডশেড়িং হয়ে যায়। এমনিতেই জেলার গত কদিন ধরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উর্ধমুখী থাকছে। এই গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। দীর্ঘক্ষণ লোডশেড়িং থাকায় ক্ষুব্ধ জনতা চড়াও হয় বিদ্যুৎ দফতরে। অফিসারদের দাবি, আচমকাই একদল লোক দফতরে ঢুকে পড়ে। তারা অফিসার ও কর্মীদের অফিস থেকে বের করে দেয়। তারপর তারপর অফিসের নানান আসবাবপত্র, কম্পিউটার মেশিন ও গাড়ি ভাঙচুর করে জনতা। কাগজপত্র ছিঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পর আতঙ্কে ভুগছেন সোনামুখী বিদ্যুৎ দফতরের সর্বস্তরের কর্মী ও অফিসাররা।
আরও পড়ুন: SSKM Hospital | শিশুর ফুসফুস থেকে বাঁশির টুকরো বের করে অসাধ্য সাধন এসএসকেএমে
তীব্র তাপপ্রবাহে ফুঁসছে বাংলা। বৈশাখ শেষের পথে কিন্তু তাও কোথাও দেখা নেই ছিঁটে ফোঁটা বৃষ্টির। যার জেরে তাপমাত্রা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। দক্ষিণ বঙ্গের বীরভূম বাঁকুড়ার মতো জেলায় যেখানে এমনি সময় তাপমাত্রা থাকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি সেখানে রবিবার তাপমাত্রার পারদ টপকেছিল ৪০ এর গণ্ডি। এই আবহে মধ্যরাতে লোডশেডিং হয়ে যাওয়ার কারণে উত্তাল হয় বাঁকুড়ার সোনামুখী। তার পরেই বিদ্যুৎ দফতর ঘেরাও করে চলে তুমুল ভাঙচুর। কয়েকদিন ধরেই বিভিন্ন জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। তীব্র গরমের মধ্যেই কোথাও কোথাও ঘটছে বিদ্যুৎ বিভ্ৰাটও । ফলে দেখা দিচ্ছে পানীয় জলের সংকটও। সব মিলিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধৈর্যচ্যুতি ঘটছে। বিদ্যুৎ দফতরে হামলা, মারধর ইত্যাদিও চলছে পাল্লা দিয়ে। বিদ্যুৎ দফতরের ব্যাখ্যা, গরমে বহু লোক সংশ্লিষ্ট দফতরকে না জানিয়েই বাড়িতে এসি বসাচ্ছেন। ফলে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে।