কলকাতা: কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি সংক্রান্ত মামলায় এবার সিবিআইয়ের (CBI) জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন প্রেসিডেন্সি জেলের সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী (Debashis Chakraborty)। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে শুক্রবার নিজাম (Nizam) প্যালেসে সিবিআই দফতরে ডেকে পাঠানো হয়। এদিন নির্ধারিত সময়ের আগেই নিজাম প্যালেসে পৌঁছে যান তিনি। চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে বেশ কিছুদিন আগেই সিবিআই গ্রেফতার করে হুগলি জেলার যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষকে। তিনি যুব তৃণমূলের অন্যতম রাজ্য সম্পাদকও ছিলেন। গ্রেফতার হওয়ার পর অবশ্য দল তাঁকে বহিষ্কার করে। বর্তমানে তাঁর ঠিকানা প্রেসিডেন্সি জেল। বন্দিদশাতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়োগ দুর্নীতিতে জড়ানোর চেষ্টার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাঠগড়ায় তোলেন কুন্তল। তাঁর দাবি ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নাম বলানোর জন্য তাঁকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে আদালতের নির্দেশে সিবিআইয়ের জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কুন্তল ঘোষের (Kuntal Ghosh) চিঠি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে কুন্তল-অভিষেকের যোগাযোগ নিয়ে। বিষয়টি গড়ায় কলকাতা হাইকোর্ট থেকে শুরু করে সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত। কুন্তলের চিঠির সঙ্গে ২৯ মার্চ শহীদ মিনার ময়দানে অভিষেকের ভাষণের কোনও সম্পর্ক আছে কি না, তা সিবিআইয়ের খতিয়ে দেখা উচিত বলে জানিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান অভিষেক। শীর্ষ আদালত ঘুরে সেই মামলা আবার ফিরে আসে কলকাতা হাইকোর্টে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে এই মামলা চলে যায়। মামলা শোনার দায়িত্ব পান বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তিনি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশই বহাল রাখেন। পরে অভিষেককে কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। গত ২০ মে প্রায় সাড়ে নয় ঘণ্টা ধরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ চলে।
এরই মাঝে সিবিআই জেরায় ধৃত কুন্তল দাবি করেছেন, ব্যক্তিগতভাবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) চেনেনই না তিনি। এখানেই শেষ নয়, ইডি-সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে ওই চিঠি লেখার জন্য তাঁর উপর কোনওরকম চাপ প্রয়োগ করা হয়নি বলেই দাবি কুন্তলের। কুন্তলের দাবি, স্রেফ মনের কষ্ট ব্যক্ত করতেই এই চিঠি।