কলকাতা: ফের রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। রাজ্যপাল নিযুক্ত উপাচার্যদের বেতন ও আর্থিক সুবিধা বন্ধ করল রাজ্য সরকার। সম্প্রতি রাজ্যপাল (Governor ) সিভি আনন্দ বোস (C. V. Ananda Bose) যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে ও নিজ সিদ্ধান্তে উপাচার্য (Vice Chancellors) নিয়োগ করেছিলেন সেইসব বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টারকে চিঠি উচ্চ শিক্ষা দফতরের। রাজ্যকে না জানিয়েই নিয়োগ করা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের কোনও মাসিক বেতন ও আর্থিক সুযোগ-সুবিধা উচ্চশিক্ষা দফতর দেবে না বলে চিঠিতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করেই ওই উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে, এই অভিযোগেই এবার কড়া পদক্ষেপ করল শিক্ষা দফতর। যদিও এনিয়ে রাজভবনের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি।
সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু দাবি করেছিলেন, রাজ্য তথা শিক্ষা দফতরের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই এই নিয়োগ করা হয়েছে। তাই এই নিয়োগ মেনে নেওয়া হবে না বলেই জানিয়ে ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট অধ্যাপকেরা উপাচার্য পদ যাতে গ্রহণ না করেন, সেই আবেদনও জানিয়েছিলেন তিনি। কেউ কেউ রাজ্যপালের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করলেও বেশিরভাগই তা গ্রহণ করেন। সেই উপাচার্যদের ক্ষেত্রে ভাতা ও পারিশ্রমিক না-নেওয়ার কথা বলেছে রাজ্য।
যে সব বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যদের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের জন্য কয়েকজন অধ্যাপককে ডেকে গত মাসে বৈঠক করেছিলেন রাজ্যপাল। সেই বৈঠকের অব্যবহিত পরই নিয়োগ করা হয় উপাচার্যদের। রাজ্যপাল নিজের পছন্দের অধ্যাপক অধ্যপিকাদের সেই সব বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য করেছিলেন বলে অভিযোগ করেছিল শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। রাজ্যকে না জানিয়ে একতরফা রাজ্যপাল ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। কেউ কেউ রাজ্যপালের নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করলেও বেশিরভাগই তা গ্রহণ করেন। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সদ্য প্রাক্তন উপাচার্যরা রাজ্যপালের ওই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠকও করেন। বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলাও হয়।
আরও পড়ুন:Mukut Mani Adhikari: বিয়ের ১১ দিনের মাথায় থানায় স্ত্রী, ‘বেপাত্তা’ বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী!
এরপর সোমবার সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির রেজিস্ট্রারদের এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, “শিক্ষা দফতরের মন্ত্রীর সঙ্গে কথা না বলে করা এই অস্থায়ী নিয়োগ আইন মেনে হয়নি। এই উপাচার্যদের নিয়োগ বৈধ নয়। তাই তাঁরা পারিশ্রমিক ও ভাতা তুলতে পারবেন না। অন্যথায় কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”