বাঁকুড়া: বাঁকুড়ার শিশুপাচার কাণ্ডে নয়া মোড়। ধৃতদের জেরা করে বৃহস্পতিবার এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে পেল সিআইডি। গোয়েন্দাসূত্রে খবর, শিশুপাচারের জন্য একটি চুক্তিপত্র তৈরি করেছিলেন ধৃতেরা। অভিযুক্ত সতীশ ঠাকুরের কাছেই সেই চুক্তিপত্রটি রয়েছে বলে সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। এই চুক্তিপত্রের মধ্যেই শিশুপাচারের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে বলে ধারনা সিআইডির। বৃহস্পতিবার সতীশ ঠাকুর, বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়া ও স্বপন দত্তকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে পেশ করা হয় সিআইডির তরফে। শুনানিতে অভিযুক্ত স্বপন দত্ত ও কমল রাজোরিয়াকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিলেও সতীশ ঠাকুরকে ২ দিনের সিআইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: বিচারকের রহস্যমৃত্যুর তদন্তে সিট গঠন করল ধানবাদ পুলিশ
চুক্তিপত্রটিই শিশু পাচারকাণ্ডে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। তাই সতীশ ঠাকুরকে জেরা করেই ওই চুক্তিপত্রের আসল রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করবে সিআইডি। পাশাপাশি চুক্তিপত্রটি উদ্ধারের জন্য দুর্গাপুরে সতীশ ঠাকুরের বাড়িতে সিআইডি হানা দিতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর ফুলবাগান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত ট্রায়াল রান শুরু শনিবার
কিছুদিন আগে বাঁকুড়ার নবোদয়া বিদ্যালয় থেকে শিশুপাচারের অভিযোগে নয় জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই তালিকায় রয়েছে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কমল কুমার রাজোরিয়াও। যদিও স্থানীয়দের তদপরতায় শেষপর্যন্ত উদ্ধার করা হয় শিশুদের। ঘটনাটি সামনে এলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। তারপরেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে।