সোমবার বিকেলের পর রজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি শুরু হয়। এই বজ্রপাতের ঘটনায় দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায় ২৭ জন মানুষ প্রাণ হারান। একদিনে ২৭ জন মানুষের বজ্রাঘাতে প্রাণ হারানোর ঘটনায় উদ্বিগ্ন রাজ্য প্রশাসন। বারে বারেই এইভাবে বজ্রাঘাতে মানুষের প্রাণ হারানো ঠেকাতে সচেষ্ট হল প্রশাসন। বিজ্ঞানীদের সহায়তায় তাই কলকাতা পুরসভার উদ্যোগ বেশ কয়েকটি স্থানে বজ্র নিরোধক যন্ত্র বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে দেশপ্রিয় পার্ক, যতীন দাস পার্ক, পাটুলি, ম্যাডক্স স্কোয়ার, সরশুনা এলাকায় এই যন্ত্র বসানো হয়েছে। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যেও কলকাতার আরও কয়েকটি স্থানে ধাপে ধাপে এই যন্ত্র বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দেবাশিস কুমার জানান, ‘বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে বজ্রপাত ঠেকাতে বিভিন্ন স্থানে এই যন্ত্র বসানো হচ্ছে। ত্রিফলা ফলার মতো দেখতে এই যন্ত্রের অংশ বাজকে আকর্ষণ করে মাটিতে নামিয়ে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঠেকানোর কাজ করবে। বালিগঞ্জ সায়েন্স কলেজের বিজ্ঞানীরা সম্পূর্ণ দেশীয় পদ্ধতিতে এই যন্ত্র তৈরি করেছেন। তবে প্রাথমিক গবেষণায় দেখা গেছে, বিকেল থেকে সন্ধ্যের মধ্যে বজ্রপাতের ঘটনা বেশি দেখা যায়, এবং তাতে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে। যারফলে এই বজ্রাঘাতে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতি বছরেই বেড়ে চলেছে। যা চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসন সহ বিজ্ঞানীদের।’ বিজ্ঞানীদের আরও ধারনা, পরিবেশে দূষণের মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় এই বজ্রপাতের ঘটনা প্রতিদিন বেড়েই চলেছে। কলকাতাতে এই যন্ত্রের সুফল মিললে আগামী দিনে সারা দেশে এই যন্ত্র বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে রাজ্য সরকারের।
Html code here! Replace this with any non empty text and that's it.