কলকাতা: যাদবপুর ক্যাম্পাসে ছাত্রমৃত্যু মামলায় গ্রেফতার দুই পড়ুয়াকে ২২ অগস্ট পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল আদালত। শনিবার রাতভর জিজ্ঞাসাবাদের পর রবিবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের। এরপর এদিনই তাঁদের দু’জনকে আদালতে তোলা হয়। শুনানিতে ওই দুইপড়ুয়ার আইনজীবী আদালতকে জানায়, ছাত্রমৃত্যু মামলায় পুলিশের কাছে যে এফআইআর দায়ের হয়েছে তাতে মনোতোষ এবং দীপশেখরের নাম নেই। যার পাল্টা জবাবে রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানায়, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তদন্ত করতে গিয়ে অনেকের নাম উঠ এসেছে। সবার নাম এফআইআরে নাও থাকতে পারে। তাই এঁদের পূর্ণ মেয়াদের পুলিশ হেফাজত দেওয়া হোক। দুপক্ষের শুনানির পরে অবশেষে আদালত ওই দু’জনকে ন’দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছে।
উল্লেখ্য, সৌরব চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র হলেও বাকি দুই বর্তমান ছাত্র। দীপশেখর অর্থনীতির (ইকোনমিক্স) স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, বাড়ি তাঁর বাঁকুড়ায়। বয়স, ১৯ বছর। মনোতোষও স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র, সমাজবিজ্ঞান (সোশিওলজি) বিভাগে পড়াশোনা করেন। বয়স, ২০ বছর। বাড়ি, হুগলির আরামবাগে। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাক্তন ছাত্র সৌরভকে জেরা করেই তাঁদের দুজনের নাম উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: স্বপ্নদীপ কুণ্ডু মৃত্যু রহস্য দ্রুত সামনে আসবে: বিনীত গোয়েল
এই মনোতোষের ঘরেই গেস্ট হিসাবে স্বপ্নদীপকে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে এফআইআরে জানিয়েছিলেন স্বপ্নদীপের বাবা রমাপ্রসাদ কুণ্ডু। ধৃত পড়ুয়া মনোতোষ ঘোষের গেস্ট হিসেবে হস্টেলের রুমে ছিলেন স্বপ্নদীপ কুণ্ডু। তবে ঘটনার দিন সে অন্য রুমে চলে গিয়েছিল বলেই খবর। ইতিমধ্যেই মনোতোষের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তাঁর ফোন স্বপ্নদ্বীপের কোনও ভিডিও আছে কি না সেটিও খতিয়ে দেখছেন পুলিশ। সেই সঙ্গে এই ঘটনার পিছনে আরও মানুষের হাত থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে