ধরমশালা: উদ্বোধনী ম্যাচে প্রথম এগারোয় ঠাঁই হয়নি, খেলেছিলেন মইন আলি (Moeen Ali)। আজ প্রথম সুযোগেই কামাল করে দিলেন ইংল্যান্ডের (England) পেসার রিস টপলি (Reece Topley)। ১০ ওভারে মাত্র ৪৩ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিলেন তিনি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ১৩৭ রানে জিতলেন জস বাটলাররা (Jos Butler)। প্রথম ম্যাচে ৯ উইকেটে হেরে নেট রান রেট ভয়ঙ্কর নীচে নেমে গিয়েছিল। আজকের জয়ে অনেকটা মেরামত হল সেই ক্ষত।
ইংল্যান্ডের জয়ের নেপথ্যে অবশ্য বেশি অবদান রাখল তাদের ব্যাটিং। ৫০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৩৬৪ তুলে দেয় তারা। বাংলাদেশ এই রান তাড়া করে জিতলে মিরাকল গোছের কিছু হত। সেসব কিছুই হল না। ৪৮.২ ওভারে ২২৭ রানে ইনিংস গুটিয়ে গেল সাকিব আল হাসানদের (Shakib Al Hasan)। বলার মতো রান করেছেন তিনজন। লিটন দাস ৬৬ বলে ৭৬ করেন, তাঁর ইনিংসে ছিল সাতটি চার, দুটি ছয়। লোয়ার অর্ডারে মুশফিকুর রহিম ৬৪ বলে ৫১ এবং তৌহিদ হৃদয় ৬১ বলে ৩৯ করেন। কিন্তু ৩৬৫ রানের লক্ষ্য পূর্ণ করতে গেলে অন্তত দুটো শতরান দরকার ছিল।
আরও পড়ুন: পাক বোলারদের পিটিয়ে রানের পাহাড়ে শ্রীলঙ্কা
Dominant in Dharamsala! ?
Up and running at #CWC23 ?
Scorecard/Insights: https://t.co/nojIVE04XG pic.twitter.com/4oCSdjmIG0
— England Cricket (@englandcricket) October 10, 2023
ইংল্যান্ডের হয়ে উইকেট পেয়েছেন প্রত্যেকেই। মার্ক উড এক উইকেট পেয়েছেন কিন্তু ১০ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ২৯ রান। দিনের নায়ক অবশ্যই দায়িদ মালান (Dawid Malan)। দুরন্ত শতরান করলেন তিনি। ১০৭ বলে ১৪০ রানের ইনিংসে ছিল ১৬টি চার এবং পাঁচটি ছয়। ম্যান অফ দ্য ম্যাচের পুরস্কার পেলেন তিনিই। ৬৮ বলে ৮২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন জো রুট (Joe Root)। গ্রাহাম গুচকে টপকে দেশের হিয়ে বিশ্বকাপে সবথেকে বেশি রান করলেন তিনি। এছাড়াও হাফ সেঞ্চুরি করেন জনি বেয়ারস্টো (Jonny Bairstow)।
বাংলাদেশ বোলারদের মধ্যে এক নম্বর সেই সাকিব। অন্যেরা যেখানে ওভারপ্রতি আট, নয়, দশ দিলেন অধিনায়ক ১০ ওভারে দেন ৫২। সেই সঙ্গে বেয়ারস্টোকে ফাঁদে ফেলে বোল্ড করেন। অফস্পিনার মাহেদি হাসান (Mahedi Hasan) চার উইকেট নিলেও আট ওভারে ৭১ রান দিয়ে ফেলেন। বাঁ-হাতি পেসার শরিফুল ইসলাম ১০ ওভারে ৭৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।