নরেন্দ্রপুর: পারিবারিক বিবাদের জেরে খুন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এমনটাই দাবি পরিবারের সদস্যদের। অপ্রতিম দাস নামে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রকে (Engineering student) নিজের বাবাই খুন করেছে, দাবি মৃতের মায়ের। এ দিকে, বাবা দাবি করছেন, মা খুন করেছেন ছেলেকে! পড়ুয়ার মৃত্যুতে বাবা ও মা যে ভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে ছেলেকে খুনের অভিযোগ তুলছেন, পারিবারিক বিবাদের কারণেই খুন হয়েছেন ওই পড়ুয়া। এমনই তত্ত্ব খাড়া করছে পুলিশ। ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের (Narendrapur) মহামায়া তলায়।
জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নরেন্দ্রপুরের বাসিন্দা ওই যুবক। ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র ছিলেন তিনি। চারদিন নিখোঁজ থাকার পর রবিবার বিকেলে অপ্রতিম দাস নামে ইঞ্জিনিয়ারিং এর দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রের দেহ ভেসে ওঠে বাড়ির পাশের একটি জলাশয়ে। গত বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিল সে। পরিবার সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন ওই যুবক। একাধিক জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরও কোনও লাভ হয়নি। ছেলেকে না বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা নরেন্দ্রপুর থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার সকালে নরেন্দ্রপুরের ঢালিপাড়া এলাকার পুকুরে এক যুবকের দেহ ভাসতে দেখা যায়। কিন্তু পুলিশ যথাযত তদন্ত করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের দেহ উদ্ধার করতে গেলে বিক্ষোভ মুখে পড়ে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতি বচসা ও হয় বাধে ছাত্রের পরিবারের ও স্থানীয়দের। পুলিশকে মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ। দীর্ঘক্ষণ পর আয়ত্তে আসে পরিস্থিতি।
আরও পড়ুন: HS এর প্রশ্নপত্রে এবার ইউনিক সিরিয়াল নম্বর
সোমবার মৃত ছাত্রের পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে, পারিবারিক বিবাদের জেরেই খুন হয়েছে অপ্রতিম। অপ্রতিমের বাবা সুমন দাস ও মা বর্ণালী দাসের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সাংসারিক অশান্তির কারণেই অপ্রতীম খুন হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। অপ্রতিমের দিদিমা মায়ের দাবি, বাবা সুমন দাসই খুন করেছে অপ্রতিমকে। সুমনের একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। অন্যদিকে অপ্রতিমের বাবা সুমন দাস ও দাদু সুব্রত দাসের অভিযোগ অপ্রতিমকে খুন করেছে তার মা। দু পক্ষের মধ্যে চাপান উতর চলছে। দুপক্ষই এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন।
আরও অন্য খবর দেখুন