দাসপুর: কখনও গৃহস্থ বাড়ির বাথরুম, আবার কখনও স্কুলের বাথরুমে মোবাইল বা গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে একাধিক মহিলাদের নগ্ন ভিডিও তোলার অভিযোগ। তথ্য প্রমাণ সহ এক যুবককে পুলিশের হাতে তুলে দিল গ্রামের বাসিন্দারা। একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রের এমন কীর্তিতে হতবাক সকলে। ওই নাবালকের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে দুটি মেমোরি কার্ড। সেখানে উদ্ধার এলাকারই প্রায় একাধিক মহিলার নগ্ন ছবি। তারপরে উত্তেজিত জনতা দিল গণধোলাই। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার জোতঘনশ্যাম গ্রামে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, স্পাই ক্যামেরা ও মোবাইলে দীর্ঘদিন ধরে গোপনে মেয়েদের স্নান করার ভিডিও বানাতো ওই কিশোর। গ্রামের মানুষ জানতে পেরে নাবালককে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। ১৭ বছরের ওই নাবালক একাধিক গৃহবধূ ও স্কুল ছাত্রীদের নানান গোপন ভিডিও তুলে সেগুলি বন্ধুদের সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটে আপলোড করত। গত ১৭ জুন সোমবার গ্রামবাসীরা ওই কিশোরের বন্ধু মারফত জানতে পারে, সেই দিনেই স্কুলের মহিলাদের বাথরুমে স্পাই ক্যামেরা লাগিয়েছে।
আরও পড়ুন: বীরভূমের ২টি গ্রাম পঞ্চায়েতে হার, অঞ্চল সভাপতিকে সরাল তৃণমূল
সেইসঙ্গে আরও জানা যায়, গ্রামের একাধিক মহিলার স্নান করার নগ্ন ভিডিও রেকর্ড করে সেগুলি বিভিন্ন সোশ্যাল সাইডে ভাইরাল করছে। ঘটনা জানাজানি হতেই ওই নাবলককে বাড়ি থেকে তাকে তুলে এনে গ্রামের মানুষ জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এমনকী তার কাছ থেকে দুটি মেমোরি কার্ড উদ্ধার হয়। ওই মেমোরি কার্ডে ২৫০টির বেশি অশ্লীল ভিডিও রয়েছে বলে গ্রামবাসীদের অভিযোগ। এরপরই ক্ষিপ্ত জনতা গণধোলাই দিয়ে ওই কিশোরকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এমন একটি ঘটনায় এলাকায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: