তমলুক: দিলীপ ঘোষের বৈঠকে ডাক নেই বিজেপি জেলা সভাপতি সহ অন্যান্য নেতৃত্বের। ভোট মিটলেও আদি-নব্য দ্বন্দ্ব প্রকট পদ্মশিবিরে? অরাজনৈতিক অনুষ্টান বলে দাবি আদি সমর্থকদের। উচ্চ নেতৃত্বকে জানাবেন দাবি নব্য বিজেপির। কটাক্ষ তৃণমূলের।
লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পরই বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরে যান প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ। অরাজনৈতিক অনুষ্ঠানে পুরনো দলীয় কর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ছিল মূল উদ্দেশ্য বলেই দাবি তমলুক বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। কিন্তু যে বৈঠকে দিলীপ ঘোষ উপস্থিত ছিলেন, সেই বৈঠকে আমন্ত্রিত ছিলেন না বিজেপি জেলা সভাপতি থেকে শুরু করে জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা এবং অন্যান্য পদস্থ নেতৃত্ব।
মূলত জেলা বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক নারায়ন মাইতির আমন্ত্রণে এসে উপস্থিত হয়েছিলেন দিলীপ। প্রসঙ্গত, নারায়ণ মাইতিকে লোকসভা ভোটেও সেরকম সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে দেখা যায়নি। দলের থেকে দূরত্ব বেড়েছে দীর্ঘদিন বলেই দাবি রাজনৈতিক মহলের একাংশের। নারায়ন বলেন, দিলীপের সঙ্গে জেলার পুরনো কার্যকর্তাদের ভালো সম্পর্ক। যাঁদের ইচ্ছে হয়েছে তাঁরা এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়েও বহাল তবিয়তে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক
বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। শাসকদলের দাবি, এখানে বিজেপির অনেকগুলি গোষ্ঠী আছে। একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর গোষ্ঠী অপরদিকে দিলীপ ঘোষের গোষ্ঠী। জেলার নেতারা কেউ শুভেন্দুর সঙ্গে আছেন কেউ দিলীপের সঙ্গে। ওঁরা নিজেরাই একে অপরের সঙ্গে গুতাগুতি করবে। এর ফল পরবর্তী নির্বাচনে পড়বে। তবে জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বামদেব গুছাইত বলেন, দিলীপ ঘোষ বর্ষীয়ান নেতা। তিনি এমন কিছুই করবেন না যাতে দলীয় কর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। তবে এই ধরনের অনুষ্ঠানে আসলে জেলা সভাপতিকে জানানো উচিত ছিল। একইসঙ্গে তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে উচ্চ নেতৃত্বের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করবেন।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: