কলকাতা: চন্দ্রকোনা রোডে ফিল্ম সিটির জমি সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে দেওয়ায় রাজ্যের সিদ্ধান্তে সাময়িক হস্তক্ষেপ করল কলকাতা হাইকোর্টের। ৩১৮ একরের জন্য ৪৩ কোটি টাকা পেয়েছে রাজ্য। বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী ও বিচারপতি অনন্যা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ, এই মামলার বিচারের উপরে জমির মালিকানার ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। ৩৫০ একরের মধ্যে ১১.২৮ একর জমি শৈলেন্দ্র তালুকদার কমিটির হাতে রয়েছে। রাজ্যের দায়িত্ব, ওই জমির দখল পেতে কমিটির কাছে দরবার করা। এই অবস্থায় ওই জমি নিয়ে কোনওরকম ব্যবহার, বিক্রি কিছু করতে পারবে না রাজ্য বলে জানায় আদালত।
আদালতের আরও নির্দেশ, এই সময়ের মধ্যে চন্দ্রকোনার মোট জমি যা একটা কোম্পানিকে দেওয়া হয়েছে, নাগরিকের আস্থা অর্জনের জন্য তা পুনরায় খতিয়ে দেখতে হবে। এই নিয়ে সব পক্ষের বক্তব্য হলফনামা আকারে ৩ সপ্তাহের মধ্যে আদালতে দিতে হবে রাজ্যকে। পাঁচ সপ্তাহ পর ফের শুনানি।
রাজ্যকে আদালত জানায়, রাজ্য, সেবি ও তালুকদার কমিটির সঙ্গে সমন্বয় করে চন্দ্রকোনার ওই জমি ফিজিক্যালি খতিয়ে দেখবে। সেখানে প্রয়াগের তরফে ফিল্ম সিটির জন্য যে সব পরিকাঠামো তৈরি হয়েছিল, তার বাজারমূল্য খতিয়ে দেখবে। আগামী শুনানিতে এর একটা বাজারদর অনুযায়ী হিসেব আদালতে দিতে হবে রাজ্যকে।
আদালতের মন্তব্য, রাজ্যকে আদালতকে বোঝাতে হবে, কেন ওই জমি নিলাম না করে, কোনও ওপেন টেন্ডার না করে, একজনকে বিক্রি করা হল। আদালতের স্পষ্ট আবস্থান, যদি এ ব্যাপারে আদালতকে সন্তুষ্ট করতে ব্যার্থ হয়, তাহলে জমি হস্তান্তরের পদ্ধতিতে আপত্তি করবে আদালত। আদালতের প্রশ্ন, ওই জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে কি নিলাম হয়েছে? যদি না হয় তাহলে কেন হয়নি? যদি তাও না হয়, তাহলে পেপার বিজ্ঞাপনের পর নির্দিষ্ট সময় দেওয়ার দরকার, অন্য কোনও গ্রাহক আগ্রহ দেখায় কি না, যদি এমনটা না করা হয়ে থাকে তখনই মানুষের মনে প্রশ্ন আসবে। এটাও খোঁজা আমাদের দায়িত্ব রাজ্যের স্বার্থে। স্বচ্ছতার জন্য। আমাদের সন্দেহ আছে নিলাম হয়েছে কি না। এটা একটা প্রাইভেট ব্যাবস্থা, জমি দেওয়ার ক্ষেত্রে। ফার্স্ট কাম ফার্স্ট সার্ভ পদ্ধতিতে জমি কেনা বা বিক্রি হয়েছে।
