নয়াদিল্লি: মঙ্গলবার সংসদে পেশ হতে চলেছে ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ (One Nation One Election) বিল। জানা যাচ্ছে, দুপুর ১২টায় লোকসভায় এই বিল পেশ করবেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘওয়াল।কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল দিল্লি, জম্মু ও কাশ্মীর ও পুদুচেরির জন্য আলাদাভাবে পেশ হবে বিল। ইতিমধ্যেই বিলের কপি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে সব সাংসদদের। এদিকে বিলের বিরোধিতায় তৃণমূলের তরফে হুইপ জারি করা হয়েছে। অন্যান্য বিরোধী দলের তরফে হুইপ জারি করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা সংবিধান (১২৯ সংশোধনী) বিল, ২০২৪, এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল আইন (সংশোধনী বিল), ২০২৪ অনুমোদন করেছে। মনে করা হয়েছিল সোমবার লোকসভায় বিল পেশ করা হবে। তবে সিদ্ধান্ত বদলের পর মঙ্গলবার পেশ করা হবে। যদিও ‘এক দেশ, এক ভোট’ বিল নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল, আপ-সহ অন্যান্য বিরোধী দল। তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এঁরা ঝাড়খণ্ডে দু’দফায় নির্বাচন করিয়েছে। ছোট রাজ্যে দু’দফায় নির্বাচন করাচ্ছে, তাঁরা সারা দেশে একসঙ্গে ভোট করানোর কথা বলছে। এটা তো হাস্যকর।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কমিটি ‘এক দেশ, এক ভোট’ সংক্রান্ত রিপোর্ট তৈরি করেছিল। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচন বিজেপির ইস্তাহারে ‘এক দেশ, এক ভোট’ নীতির উপর জোর দেওয়া হয়েছিল। কেন্দ্রীয় সরকারের যুক্তি, এই নীতি দেশে চালু হলে ভোটের খবর কমবে। পাশাপাশি ভোট চলাকালীন নির্বাচনী আচরণ বিধির জেরে সরকারের কাজ থমকে থাকবে না। বার বার ভোট হলে উন্নয়নমূলক কাজ যায়। সরকারি কর্মীদের উপর থেকেও ভোটার তালিকা তৈরি ও ভোট সংক্রান্ত কাজকর্মের চাপ কমবে। এই তিন বিলের সাহায্যেই একই সময় লোকসভা এবং সমস্ত রাজ্যের বিধানসভা, পুরসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে উদ্যোগী বিজেপি সরকার। তবে এটি কার্যকর করতে বিভিন্ন আইনি ও সাংবিধানিক পরিবর্তন প্রয়োজন। সব রাজনৈতিক দলের সম্মতির উপর এই নীতির কার্যকরী হওয়া সম্ভব। একটি সংবিধান সংশোধনী বিলে ৫০ শতাংশ রাজ্যের অনুমোদন প্রয়োজন কারণ এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে স্বরাষ্ট্র বিষয়ক ইস্যু।
অন্য খবর দেখুন