কলকাতা: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) হরিহরপাড়া থেকে ধৃত জঙ্গিদের (Terrorist) জেরা করে ভয়ঙ্কর তথ্য পেল স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (Special Task Force)। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার-উল্লাহ বাংলা টিমের সঙ্গে যুক্ত দুই জঙ্গি, মিনারুল শেখ এবং মহম্মদ আব্বাস, স্থানীয় কিশোরদের মগজধোলাই করে আত্মঘাতী বোমারু (Suicide Bomber) তৈরির পরিকল্পনা করেছিল। সূত্রের খবর, তাদের লক্ষ্য ছিল পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং আরও কিছু রাজ্যে গেরিলা কায়দায় নাশকতা চালানো। তদন্তকারীদের দাবি অনুযায়ী, মিনারুল এবং আব্বাসের মূল লক্ষ্য ছিল ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সি কিশোর-কিশোরীদের চিহ্নিত করে মাদ্রাসায় নিয়ে গিয়ে মগজধোলাই (Brain Wash) করা।
মুর্শিদাবাদ ছাড়াও, নদিয়া, উত্তর দিনাজপুর এবং আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন এলাকায় কিশোরদের প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রায় ৩০ জনের একটি আত্মঘাতী দল তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। তদন্তে উঠে এসেছে, এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে মাদ্রাসাগুলোতে জঙ্গি নেতাদের বক্তৃতা শোনানো হতো। প্রশিক্ষণ শেষে কিশোরদের অস্ত্রচালনা শেখানোর পাশাপাশি পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাঠানোর পরিকল্পনাও ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর এবং শিলিগুড়ি করিডোরের চারটি গ্রামে বিএসএফ আউটপোস্ট এবং জেলা পুলিশের দফতরে নাশকতার ছক করেছিল জঙ্গিরা। স্থানীয় মহিলাদের আর্থিক সাহায্যের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করার পরিকল্পনাও ছিল।
আরও পড়ুন: ধূর্ত বাঘিনিকে ধরতে বিরাট পরিকল্পনা, কী হচ্ছে ঝাড়গ্রামের জঙ্গলে?
কেরল থেকে শাব আলি নামে আরও একজন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি একসময় মুর্শিদাবাদের কেদারতলায় থাকতেন এবং মিনারুল ও আব্বাসের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন। শাবের মাধ্যমে আনসার-উল্লাহর বঙ্গশাখার নেতা আমির ও জসিমদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেছিল ধৃত জঙ্গিরা। এই বৈঠকের মাধ্যমেই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা এবং মুর্শিদাবাদসহ অন্যান্য এলাকায় নাশকতার পরিকল্পনা হয়। পুলিশের দাবি, ধৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকারকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাসহ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন জঙ্গি এখনও আত্মগোপনে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
দেখুন আরও খবর: