ওয়েব ডেস্ক: ছত্তীসগঢ়ে (Chhattisgarh) সাংবাদিক খুনের (Journalist Murder) ঘটনায় হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার মূল অভিযুক্ত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকেশকে খুনের ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ সুরেশই। এক ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হল মুকেশ চন্দ্রকর (Mukesh Chandrakar) নামের এক যুব সাংবাদিকের দেহ। গত ১ জানুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। ৩ জানুয়ারি পাওয়া গেল তাঁর নিথর শরীর। আর এই ঘটনাকে ঘিরে শোরগল পড়েছে গোটা দেশে। যে ঠিকাদারের বাড়ি থেকে মুকেশের দেহ উদ্ধার হয়েছিল, সেই সুরেশ চন্দ্রকরকেই রবিবার রাতে হায়দরাবাদ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নিজের গাড়িচালকের বাড়িতে লুকিয়েছিলেন তিনি।
মুকেশ ছিলেন এমন একজন সাংবাদিক যিনি ১২০ কোটি টাকার একটি দুর্নীতির (Corruption) পর্দাফাঁস করেছিলেন। সেই ঘটনার প্রভাবেই কি খুন হতে হল এই সাংবাদিককে? এই প্রশ্নটা উঠতে ষুরু করেছিল। পুলিশ জানিয়েছে, একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন মুকেশ চন্দ্রকর। বাস্তারে (Bastar) একটি রাস্তা প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকার একটি দুর্নীতি প্রসঙ্গে বেশ কয়েকটি খবর করেছিলেন। এই প্রকল্পে কী দুর্নীতি হচ্ছে, কীভাবে দুর্নীতি হচ্ছে, এই প্রসঙ্গে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছিলেন। সেই থেকেই দুর্নীতিতে সুরেশ চন্দ্রশেখর নামের একজন ঠিকাদারের নাম জড়িয়ে যায়। তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এবার সেই ঠিকাদারের বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পাওয়া গেল সাংবাদিক মুকেশ চন্দ্রকরের দেহ।
আরও পড়ুন: আতঙ্ক বাড়িয়ে ভারতে হানা দিল HMPV ভাইরাস, শনাক্ত বেঙ্গালুরুতে
পুলিশ সূত্রে খবর, মুকেশকে খুনের ঘটনায় ‘মূল অভিযুক্ত’ সুরেশই। ঘটনার পর থেকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না সুরেশের। তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছিল পুলিশ। প্রায় ২০০টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে এবং ৩০০টি মোবাইল নম্বর ‘ট্র্যাক’ করে তাঁর খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। খুনের সম্ভাব্য কারণ জানতে সুরেশকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশ আধিকারিকেরা। ছত্তীসগঢ়ের কাঁকের জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে সুরেশের স্ত্রীকেও। তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
অন্য খবর দেখুন