ওয়েবডেস্ক- কসবা কাণ্ডে (Kasba Incient) যুক্ত হল আরও ৬ টি ধারা। এর মধ্যে রয়েছে কিডন্যাপিং, হুমকি, অস্ত্র দিয়ে আঘাত সহ একাধিক ধারা। নয়া সেকশন অনুযায়ী, ৭৭ ধারায়-গোপন ও অন্যদের জন্য কার্যকলাপ দেখা। ১১৮ (১) অস্ত্র দিয়ে আঘাত। ৩৫১ (৩) ধারায় হুমকি। ১৪০(৩) ধারায় অপহরণ, ১৪০(৪) জোর করে আটকে রেখে মারধর সহ নির্যাতন। ১৪২ -ঘরের মধ্যে আটকে রাখা। আগে ছিল ১২৭(২) আটকে রাখা, ৭০ (১) গণধর্ষণ, ৩(৫) ধারায় একই উদ্দেশে সংঘটিত অপরাধ। এই গুলির সঙ্গে উপরিউক্ত আরও ৬টি ধারা যুক্ত হল।
কসবাকাণ্ডে অপরাধ প্রমাণ করতে মরিয়া বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) (Sit)। আরও কিছু তথ্য প্রমাণ তাদের হাতে এসেছে। যার ভিত্তিতে এই আরও ৬টি নয়া ধারা যুক্ত হল। এবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের নির্দিষ্ট ধারা প্রয়োগ করা হল মনোজিৎ মিশ্র ও অন্য দুই অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।
পরিকল্পনা মাফিক গণধর্ষণ, দাবি সিটের। প্রথমে নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে তিনটি ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। পরে আরও ছ’টি ধারা যুক্ত করার অনুমতি চেয়ে আলিপুর আদালতের (Alipur Law Collage) কাছে আবেদন জানায় পুলিশ। সেই আবেদনে অনুমতি দেন বিচারক। অনুমতির পরেই আরও ৬ টি ধারা যুক্ত করা হল।
গতকাল কলেজ পরিচালন সমিতির বৈঠকে মনোজিৎদের (Manojit) বহিষ্কারে সিলমোহর দেওয়া হয়। বৈঠকে ছিলেন সমিতির সভাপতি তথা বজবজের বিধায়ক অশোক দেব। ছিলেন কলেজের উপাধ্যক্ষ নয়না চট্টোপাধ্যায়ও। উচ্চশিক্ষা দফতর সোমবারই কলেজ কর্তৃপক্ষকে সাত দফা নির্দেশ দিয়েছিল। তাতে মনোজিৎকে চাকরি থেকে বরখাস্ত এবং জইব ও প্রমিতকে কলেজ থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ ছিল।
আরও পড়ুন- কসবা কাণ্ডে বৈঠকে শেষে কী কী সিদ্ধান্ত? দেখুন বড় আপডেট
বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থা শোকজ করতে বলা হয়। সেই বৈঠকের সব নির্দেশ মানা হয়। মনোজিৎ করার পাশাপাশি তাকে বেতন বাবদ প্রাপ্ত অর্থও ফেরাতে বলা হবে। নিরাপত্তা এজেন্সির সঙ্গে চুক্তিই বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজে বেশ কিছু নিয়ম জারি করা হয়েছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের আইকার্ড দেখে প্রবেশের অনুমতি, দুপুর ২ টোর পরে কোনও শিক্ষার্থীকে ঢুকতে না-দেওয়া, নির্দিষ্ট সময়ের পরে ক্যাম্পাস খালি করে দেওয়ার মতো সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে।
দেখুন আরও খবর-