বসিরহাট: উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট (Basirhat) মহকুমার সীমান্ত থেকে সুন্দরবনে (Sundarban) প্রায় ৩৫ লক্ষ মানুষ বসবাস করেন। বসিরহাট জেলায় বসিরহাট জেলা হাসপাতাল (Basirhat District Hopital) ও সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল (Basirhat Super Speciality Hospital) থাকলেও প্রধান সমস্যা হল উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা (Health Service)। কারণ সেখানে চিকিৎসক (Doctor’s) নেই বললেই চলে। পর্যাপ্ত চিকিৎসক (Insufficient Doctor’s) না থাকায় বারংবার অভিযোগ জানিয়েছেন রোগী থেকে সাধারণ মানুষ।
অন্যদিকে, হাসপাতালের পরিকাঠামো (Hospital Infustructure) ও প্রযুক্তি (Technology) থাকলেও টেকনিশিয়ান নেই। হাসপাতালের রোগীদের তাই ছুটে যেতে হয় ৭০-১০০ কিলোমিটারের দূরের কোনও সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে (Private Hospital)। আর বেসরকারি হাসপাতালের সেই বিপুল পরিমাণ খরচ জোগাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় সাধারণ মানুষদের।
আরও পড়ুন:পুলিশি নোটিসকে অগ্রাহ্য, থানায় হাজিরা দিলেন না কার্তিক মহারাজ
সমাজকর্মী ছন্দক বাইন জানান, “২০১৯ সালে মেডিক্যাল কলেজের পরিষেবা নিয়ে আমরা স্বাস্থ্য দফতরকে লিখিতভাবে জানাই। তারপর কেটে গিয়েছে বহু বছর । এখনও মেডিক্যাল কলেজের বিষয়ে কোনও অগ্রগতি হয়নি। গত ২০ জুন রাজভবন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই বিষয়ে জানতে চায়, যে বসিরহাটে মেডিক্যাল কলেজের প্রক্রিয়া কতদূর।” কিন্তু এই নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
বারংবার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের দাবি জানিয়ে লিখিত আবেদন জমা করলেও এখনও মেলেনি সুরাহা। সাধারণ মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় রোগী আসলেই তাঁকে বারাসাত বা আরজিকর হাসপাতালে স্থানন্ করা হচ্ছে। বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শ্যামল বিশ্বাস বলেন, “অনুমোদন হয়ে গিয়েছে। আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের কাজ শুরু হবে।”
দেখুন অন্য খবর