নয়াদিল্লি: কোনও লাভ হয়নি মহাজোট করে। ফের ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। উলটে মহাজোটের নেতাদের মুখে শোনা যাচ্ছে বিজেপির প্রশংসা। তাই, ভোট মিটতেই ভাঙাছে জোট।
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট(AIUDF)-এর সঙ্গ ত্যাগ করতে চলেছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস(INC)। সূত্রের খবর, এই জোট ভাঙার বিষয়টি চলতি মাসেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে।
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট(AIUDF) অসমের রাজনৈতিক দল। ওই রাজ্যের দক্ষিণে বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় মজবুত সংগঠন রয়েছে এআইইউডিএফ-এর। বদরুদ্দিন আজমলের নেতৃত্বে সেখানের সংখ্যালঘু মুসলিমদের বড় অংশের সমর্থন রয়েছে ওই রাজনৈতিক দলের প্রতি।
বিজেপিকে রুখতে ওই রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জোট গঠন করে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে অসমের আরও তিন বাম দলের সঙ্গে জোট করে হাত শিবির। সেই অনুযায়ী চূড়ান্ত হয় প্রার্থী তালিকা। যদিও এই জোট নিয়ে দলের একাংশের আপত্তি ছিল। অনেকে প্রবীণ নেতা ওই জোট মেনে নিতে পারেনি। ভোটের আগে যা নিয়ে দলের অন্দরে কোন্দল ছিল।
আরও পড়ুন- কত জন ভারতীয় এখনও আটকে আফগানিস্তানে জানে না কেন্দ্র
ভোটের ফলাফলে খুব স্পষ্ট হয়ে যায় যে মানুষের রায় জোটের পক্ষে নেই। ১২৬ আসনের অসম বিধানসভার ৬০টি আসন দখল বিজেপি। গেরুয়া জোটের বাকি দলগুলি মিলিয়ে আরও ১৫ আসনে পকেটস্থ করে। যার জেরে ফের অসমে সরকার গঠন করে বিজেপি। অন্যদিকে, কংগ্রেসের ঝুলিতে যায় ২৯ আসন। এআইইউডিএফ-কে থামতে হয় ১৬ আসন নিয়ে। বিরোধী মহাজোট সর্বসাকুল্যে ৫০টি আসন পায়।
আরও পড়ুন- বৈধ কাগজ থাকলে বিদেশ পাড়িতে বাধা নেই, আশ্বাস তালিবানের
ভরাডুবির কারণে অনেকেই কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এআইইউডিএফ-এর সঙ্গে জোটকে কাঠগড়ায় তোলা হয়। অন্যদিকে, দুই দলের বিধায়কের মুখে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার প্রশংসা শোনা যায়। যা নিয়ে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। দলের অন্দরে শুরু হয় ঠাণ্ডা লড়াই। ওই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পেতেই জোট ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের জাতীয় কংগ্রেস। আগামী ৩০ অগস্ট দিল্লিতে কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকেই জোট ভাঙার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ হবে। সূত্রের খবর, অসমে এআইইউডিএফ-কে ছাড়াই লড়াইয়ের পরিকল্পনা করে ফেলেছে কংগ্রেস।