দাসপুর : ৩ দিন ধরে কংসাবতী নদীর জলে দেহ ভাসতে দেখছিলেন গ্রামের মানুষ। সেই দেহ উদ্ধার করতে গিয়ে চমকে গেলেন গ্রামবাসীরা। মরদেহ নয়, জলের মধ্যে থেকে উঁকি মারছে যে মাথাটি, সেটি জীবন্ত এক মানুষের। তিন দিন টানা গলা জলে ডুবে থাকা সেই অজ্ঞাত পরিচয় মানুষটিকে বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন : সেলফির গেরোয় নদীতে তলিয়ে গিয়েছিল যুবক, সপ্তাহ পেরিয়ে উদ্ধার দেহ
কী কারণে ওই যুবক নদীতে নেমেছিলেন, জানে না কেউ। কিন্তু নদীতে নামার পর নরম পলিতে আটকে যায় দেহ। ফলে জল থেকে উঠতে পারেননি ওই যুবক। এভাবেই কেটে যায় ৩ দিন। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর থানার গুড়লি গ্রামের ঘোলপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামবাসীরা মৃতদেহ ভেবে তা উদ্ধার করতে গেলে দেখতে পান, জলের উপরে ভেসে রয়েছে এক ব্যক্তির মাথা। শুধু তাই নয়, তিনি মাঝে মাঝে চোখ মেলে চাইছেনও। গ্রামবাসীরা তখন বুঝতে পারেন যে, ওই ব্যক্তি আসলে জীবিত। যাকে তাঁরা মৃত ভেবে ভুল করেছিলেন।
আরও পড়ুন : সবরমতী নদীর জলে করোনার উপস্থিতি
প্রতিকূলতার কারণে কোনওভাবেই ওই ব্যক্তির কাছে পৌঁছনো যাচ্ছিল না বলে জানান গ্রামবাসীরা। দাসপুরের ঘোলপাড়ার কয়েকজন বিষয়টি জানার পর প্রাণের বাজি রেখে জলে ডুব দিয়ে ওই ব্যক্তিকে কোনওরকমে উদ্ধার করেন। তাঁরা জানান, জলের তলার পলির মধ্যে প্রায় কোমর পর্যন্ত আটকে ছিলেন ওই ব্যক্তি। তাই তিনি নিজেও জল ছেড়ে উঠতে পারেননি। ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করার পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গ্রামবাসীরা। তাঁর খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করেন। কিন্তু তিনি বাংলা বা হিন্দি, কোনও ভাষাই বুঝতে পারছেন না। এমনকি কথাও বলতে পারছেন না। পরে স্থানীয়রা তাঁকে দাসপুর থানার পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ ওই যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশের ধারণা ওই যুবক মানসিক ভারসাম্যহীন।