শীতকালে এমনিতেই আবহাওয়ার কারণে চুল শুষ্ক হয়ে যায়। তার ওপর হেয়ার স্টাইলিং সরঞ্জামের ব্যবহার, গরম জল দিয়ে মাথা ধোওয়া কিংবা হেয়ার কালার থাকা কড়া কেমিকেলের ব্যবহার, এরকম নানা কারণে চুলের ডগা ফেটে দু’মুখো চুলের সমস্যার সৃষ্টি হয়। চুল একবার দু’মুখো হয়ে গেলে তা কেটে দেওয়াই সব থেকে ভাল। তবে এই সমস্যা যেন আর ফিরে না আসে তাই প্রয়োজন সমস্যার প্রতিকারের। অধিকাংশ মানুষই চুলের এই সমস্যায় ভোগেন তাই নিয়ে মন খারাপ না করে বরং বাড়িতেই দুমুখো চুলের পরিচর্যা করুন এভাবে।
ডিমের কুসুম ও তেল (Egg yolk + oil)
প্রোটিনে ভরপুর ডিমের কুসুম। আর এই প্রোটিন শুষ্ক চুলের অন্যতম প্রয়োজনীয় পুষ্টি। চুলে পুষ্টি ও আর্দ্রতার অভাব ঘটলেই চুলের ডগা ফেটে গিয়ে দুমুখো চুলের সমস্যা তৈরি হয়। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে চুলে এই দুটো জিনিসের জোগান দিল চুলের ডগা ফাটার সমস্যার প্রতিরোধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য ভাল করে। এই প্যাক টানা কয়েক সপ্তাহ ব্যবহার করলেই উল্লেখযোগ্য ফল পাবেন।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
- একটি পাত্রে একটি ডিমের কুসুম ও দু চা চামচ আমন্ড অয়েল ও ২ চা চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে নিন।
- সবকটি উপকরণ ভাল করে ফেটিয়ে নিন যাতে মিশ্রণটা একেবারে মসৃণ হয়।
- এবারে গোড়া থেকে শুরু করে চুলের ডগা অবধি ভাল করে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন
- চুলের ৩০ থেকে ৪০ মিনিট মিশ্রণ লাগিয়ে রাখার পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন। গরম জল চুলে দেবেন না।
- চুল শুকোনোর সময় তোয়ালে দিয়ে জোরে জোরে চুল ডলবেন না।
বিয়ার দিয়ে চুল ধুয়ে নিন (Beer wash)
বিয়ারে প্রোটিন ও চিনি দুটোই থাকে। আর এই দুটো উপাদানই দুমুখো চুলের সমস্যা মেটাতে পারে। বিয়ার যে শুধু চুল মজবুত করে তাই নয় বরং চুলের হারানো জেল্লা ফিরিয়ে আনে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন
- অর্ধেক কাপ বিয়ারের সঙ্গে ২ চা চামচ মধু মেশান।
- এবার এই মিশ্রণ দিয়ে মাথা ও চুলের গোড়া থেকে ডগা পর্যন্ত ভাল করে মালিশ করুন।
- মিশ্রণটি মাথায় ৩০ থেকে ৪০ মিনিট রেখে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
- এবার চুল হাওয়ায় শুকিয়ে নিন আর কোনও হেয়ার স্টাইলিং সরঞ্জাম ব্যবহার করবেন না।