কলকাতা ও নয়াদিল্লি: ইন্ডিয়া জোটের (INDIA Bloc) বৈঠকে যোগ দিতে রাজধানী রওনা হওয়ার আগে সংসদে নিরাপত্তা ভঙ্গকে (Parliament Security Breach) গুরুতর গলদ বলে বর্ণনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রবিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) প্রথম মুখ খোলার বিষয়টি সংবাদে আসতেই দিনভর তা নিয়ে চর্চা চলে। পরে দুপুরে কলকাতা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা মোদির ভাষাতেই বলেন, এটা খুবই গুরুতর গলদ এবং তদন্ত হওয়া উচিত। এটা নিরাপত্তার ঘাটতি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তা স্বীকারও করে নিয়েছেন। ওদের এবারে তদন্ত করতে দিন।
মমতা আরও বলেন, রাজ্যসভা থেকে তৃণমূল সদস্য ডেরেক ও’ব্রায়েনকে শীত অধিবেশনে সাসপেন্ড করার কারণ হল, ও নিরাপত্তার ঘাটতি নিয়ে সংসদে সরব হয়েছিল তাই। বিরোধীরা বিষয়টি সংসদে তুলেছে। সে কারণেই ডেরেক, ডিএমকে এবং কংগ্রেস এমপিদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, বলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, এদিনই প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্য নিয়ে দিনভর আলোচনা চলে রাজনৈতিক মহলে।
আরও পড়ুন: অযোধ্যায় মসজিদ তৈরি শুরু হতে পারে মে মাসে
বিষয়টিকে গুরুতর বললেও মোদি বলেছেন, এখন তর্ক-বিতর্কের সময় নয়, এখন তদন্তের প্রয়োজন। দেখা দরকার এর নেপথ্যে কে বা কারা আছে। কংগ্রেস মোদির এই বক্তব্যকে তুলোধনা করে বলেছে, আসলে বিতর্ক এড়াতেই প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলছেন।
উল্লেখ্য, আগামী মঙ্গলবার বিজেপি বিরোধী ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক বসতে চলেছে কংগ্রেস (Congress) সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের বাড়িতে। তার পরদিনই মমতা রাজ্যের দাবিদাওয়া নিয়ে দেখা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। ২১ ডিসেম্বর কংগ্রেস পরবর্তী রাজনৈতিক কৌশল ঠিক করতে ওয়ার্কিং কমিটির (CWC) বৈঠক ডেকেছে।
মনে করা হচ্ছে, এবারের জোট বৈঠকে আসন সমঝোতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হতে পারে। আর সেটাই জোটের ভবিষ্যতের মূল গেরো হতে পারে। কারণ এদিন প্রবীণ সিপিএম (CPM) সাংসদ বাসুদেব আচারিয়ার স্মরণসভায় এসে দলের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি জানিয়ে দেন, পশ্চিমবঙ্গে তাঁরা তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস ও সহধর্মী দলের সঙ্গে জোট করে লড়বেন। অন্যদিকে, কেরলে বিজেপি এবং কংগ্রেস, তামিলনাড়ুতে ডিএমকে-র বিরুদ্ধে লড়াই চলবে।
অন্য খবর দেখুন