নয়াদিল্লি: গত লোকসভা ভোটের তুলনায় এবার অনেক কম আসনে প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। হিন্দি বলয় ও উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রায় নিশ্চিহ্ন দেশের প্রাচীনতম দল দাক্ষিণাত্যে মাত্র দুটি রাজ্যে টিকে আছে। বাকি দু-একটি রাজ্যে শাসক জোটের ছোট শরিক হিসেবে নিঃশ্বাস নিচ্ছে।
সে কারণে বরাবরের উন্নাসিক কংগ্রেস নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বিজেপিকে রুখতে এবং নিজেদের মুখরক্ষা করতে গতবারের চেয়ে এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রায় অর্ধেক আসনে প্রার্থী দেবে তারা। কেবলমাত্র যেগুলিতে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে, সেগুলিতেই লড়াইয়ে থাকবে। বাকি আসন ছেড়ে দেবে ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলোকে।
আরও পড়ুন: শনিবার ও রবিবার শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল একগুচ্ছ ট্রেন
ইন্ডিয়া জোটের টানাপড়েনের মধ্যে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব রাজ্য শাখাগুলিকে বলে দিয়েছে ২৫৫টি আসনে জেতার লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মোদি হটাও লড়াইয়ে শামিল হতে। গতবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালে কংগ্রেস ৪২১টি আসনে প্রার্থী দিয়ে ৫২টিতে জিতেছিল। ৫৪৩ সদস্যবিশিষ্ট লোকসভায় সেই হিসেবে এবার অর্ধেকেরও কম আসনে লড়বে খাড়্গের দল।
বৃহস্পতিবার সব রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনায় বসেছিল হাইকমান্ড। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে, প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী, সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল দলের পাঁচ সদস্যের জাতীয় জোট কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে দলের জোট কমিটি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার রিপোর্ট দেয়। তার ভিত্তিতেই খুব শীঘ্রই ইন্ডিয়া জোট শরিকদের সঙ্গে আসন বণ্টন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু হবে।
যদিও পঞ্জাব, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, কেরল, পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে জাঁতাকলে পড়তে হতে পারে ইন্ডিয়া জোটকে। পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, আম আদমি পার্টির সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া দলের পক্ষে আত্মঘাতী হবে। বাংলায় কংগ্রেস নেতৃত্বেরও তৃণমূলের সঙ্গে বোঝাপড়ায় তীব্র আপত্তি রয়েছে।
অন্যদিকে, অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি আভাসে ইঙ্গিতে জানিয়ে দিয়েছে, তারা ৬৫ আসনে প্রার্থী দেবে। কংগ্রেস এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলকে ১৫টি আসন ছাড়তে পারে। গত ভোটে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস ৮০ আসনের মধ্যে ৭০টিতে প্রার্থী দিয়েছিল। খোদ রাহুল গান্ধীসহ বহু পাহাড় ধসে গিয়েছিল।
এবারে কংগ্রেস নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আসন সমঝোতা নিয়ে পৃথকভাবে শরিক দলগুলির আলোচনা করবে। যেমন— দিল্লি, পঞ্জাব, গুজরাত, হরিয়ানার জন্য আপের সঙ্গে। বাংলার জন্য সিপিএমের সঙ্গে।
অন্য খবর দেখুন