ওয়েব ডেস্ক: খগেন মুর্মুকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিজেপি সাংসদ-কে দেখতে গিয়ে কার্যত হুশিয়ারির সুর রাজ্যপালের গলায়। সোমবারই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গিয়েছেন রাজ্যপাল। আর তার আগেই নাগরাকাটা এলাকায় বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের উপর হামলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। এরপর মঙ্গলবার সকালেই বিজেপি সাংসদকে দেখতে হাসপাতালে গেলেন রাজ্যপাল।
জানা গিয়েছে, খগেন মুর্মু চোখের নীচের হাড় ভেঙে গিয়েছে। অস্ত্রোপচার করতে হবে। তিনি ভর্তি রয়েছেন শিলিগুড়ির বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউ-তে। তবে এখানেই অস্ত্রোপচার হবে নাকি তাঁকে দিল্লির এইমস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে, সেটা এখনও নির্ধারিত হয়নি। যেহেতু চোখের নীচের হাড় ভেঙেছে, সেক্ষেত্রে চোখের মণি কিংবা তার আশপাশের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন চিকিৎসকরা। ইতিমধ্যেই আহত সাংসদের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে দেখা করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। খগেন মুর্মুর সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। খগেন মুর্মুর আঘাত গুরুতর হলেও এখন তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। যদিও, গতকালই ঘটনাস্থলে পৌঁছে একতার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন: খুলল টাইগার হিল-সান্দাকফু, বিপর্যয় কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পাহাড়
সোমবার দুপুরে দুর্যোগকবলিত নাগরাকাটায় একাধিক এলাকা পরিদর্শনে যান মালদহ উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু এবং শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। বামনডাঙায় ঢোকার আগে বিক্ষোভের মুখে পড়েন দু’জন। লাঠি, জুতো নিয়ে তাঁদের উপর চড়াও হন কয়েকশো মানুষ। নদী থেকে পাথর তুলে ছোড়া হয় বলে অভিযোগ, তাতেই গুরুতর চোট পান দুজনে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফে ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
দেখুন খবর: