নয়াদিল্লি: দীর্ঘ ২৭ বছর পরে অবশেষে সংসদের নিম্নকক্ষ স্বীকৃতি দিল মহিলা সংরক্ষণের দাবিকে। এর পর আজ রাজ্যসভায় পাশ করিয়ে বিলটিকে রাষ্ট্রপতির কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। রাষ্ট্রপতির ছাড়পত্র পেলে কার্যকর হবে মহিলাদের জন্য লোকসভা-বিধানসভায় আসন সংরক্ষণ।
প্রসঙ্গত, লোকসভায় ৪৫৪টি ভোট পক্ষে পড়েছে। বিপক্ষে পড়েছে ২টি ভোট। এর আগেই মহিলা সংরক্ষণ বিলকে সমর্থন জানায় প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। বুধবার এই বিলের উপর আলোচনায় সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী দুজনেই সমর্থনের বার্তা দেন। লোকসভায় বিলের বিতর্কে অংশ নিয়ে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল বলেন, অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির সংরক্ষণ ছাড়া এই বিল অসম্পূর্ণ। অন্য বিরোধী দলগুলির সুরে সুর মিলিয়ে তিনিও মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে বিজেপির গড়িমসির নিন্দা করেন। নতুন জনগণনা, আসন পুনর্বিন্যাসের জন্য দেরি কেন, এই আজ থেকেই কার্যকরী করার দাবি তোলেন কংগ্রেস নেতা।
আরও পড়ুন:সিবিআই আদালতের সঙ্গে খেলা করছে, ফের তোপ বিচারপতির
অন্যদিকে, পাটনায় সাংবাদিকদের সামনে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম রূপকার নীতীশ কুমার দাবি করেন, মহিলা সংরক্ষণ বিল বিজেপি কার্যকর করতে পারবে না। এটা কেবলমাত্র ভোটের আগে রাজনৈতিক চমক। ওরা যদি এই বিলকে কার্যকর করতে চাইত, তাহলে অনেক আগেই তা করত। আমরা অনেকদিন ধরে মহিলা সংরক্ষণের কথা বলে আসছি। ওরা কানে তোলেনি। জাতিগত জনগণনার কথাও বলে আসছি, করছে কি ওরা?
এদিন শুরুতেই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী লোকসভায় বলেন, তাঁরা এই বিলকে সমর্থন করেন। তবে সোনিয়ার দাবি, এই সংরক্ষণের মধ্যে অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি, তফসিলি জাতি ও উপজাতিদের পৃথক কোটা রাখা উচিত। এর জন্য তিনি জাতিগত জনগণনার দাবিও তোলেন। কংগ্রেসের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন সোনিয়া আরও বলেন, এই বিল রাজীবজির স্বপ্নের বিল। উল্লেখ্য, বাংলার তৃণমূল কংগ্রেসও এই বিলকে সমর্থন জানিয়েছে।