উত্তরকাশী: বাবা বৌখ নাগরাজার (Baba Boukhnag) আক্রোশেই উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) উত্তরকাশীর (Uttarkashi) সুড়ঙ্গ দুর্ঘটনা (Tunnel Collapse) বলে স্থানীয়দের বিশ্বাস। শ্রীকৃষ্ণের একটি রূপের বিগ্রহ এবং মন্দির ছিল সুড়ঙ্গ খোঁড়ার এলাকায়। টানেল তৈরির জন্য সেই মন্দির ভাঙা পড়ে এবং বিগ্রহ সরিয়ে নিতে হয়।
জনমানসে এখন প্রবল বিশ্বাস প্রতিপন্ন হয়েছে যে, বাবা বৌখনাগের আক্রোশেই আজ এই দশা হয়েছে। কারণ ১২০ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও ধসে যাওয়া সুড়ঙ্গ থেকে ৪০ জন কর্মীকে সুস্থ শরীরে বের করে আনা সম্ভব হয়নি। উদ্ধারকাজ খুব ধীরগতি এগোচ্ছে বলেও সহকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে।
আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়ে ভোটগ্রহণ শুরু
মন্দিরের পুরোহিত গণেশপ্রসাদ বিজলওয়ানের দাবি, প্রাথমিক চেষ্টা বিফল হওয়ার পর কোম্পানির অফিসাররা বুধবার তাঁর কাছে আসেন। তাঁকে বিশেষ পূজাপাঠের অনুরোধ করেন। উত্তরকাশীর সিলকিয়ারা গ্রামে সুড়ঙ্গের একেবারে মুখে মন্দিরটি বহু বছর ধরে ছিল। বৌখনাগকে এই এলাকার রক্ষাকারী বলে জনশ্রুতি আছে। এক গ্রামবাসী বলেন, আমরা নির্মাণকারী কোম্পানিকে বলেছিলাম, মন্দির ভাঙবেন না। কিন্তু ওরা আমাদের কথায় কান দেয়নি।
দিল্লি থেকে বিমানবাহিনীর মালবাহী বিমানে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া বিশাল আকারের আমেরিকান ড্রিলিং মেশিন কাজ শুরু করেছে। বিশেষভাবে তৈরি এই মেশিন ৭০ মিটার পাহাড় খুঁড়ে কর্মীদের কাছে পৌঁছাতে প্রায় ১২-১৫ ঘণ্টা সময় নেবে। মাত্র ৩ ফুট ব্যাসের একটা পাইপ ঢোকানোর চেষ্টা চলছে। তার ভিতর দিয়ে কর্মীদের এক-এক করে হামাগুড়ি দিয়ে বেরতে হবে।
শুক্রবার ধরলে ৬ দিন ধরে চলছে উদ্ধারের পর্ব। উদ্ধারকারী দলের ধারণা, আরও ২-৩ দিন লাগবে আটকে পড়া কর্মীদের কাছে পৌঁছাতে। কিন্তু এই অবস্থায় আটকে পড়া কর্মীদের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। ভিতরের ঠান্ডা ও স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়ায় বেশ কয়েকজনের জ্বর হয়েছে। মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েছেন অনেকে। এ বিষয়ে দিল্লির শ্রীবালাজি অ্যাকশন মেডিক্যাল ইন্সটিটিউটের মনস্তাত্ত্বিক অর্চনা শর্মা বলেন, এটা খুবই ভয়ঙ্কর ঘটনা। যাঁরা ভিতরে রয়েছেন তাঁদের মানসিকভাবে ভেঙে পড়ার সম্ভাবনাই বেশি। তাঁরা আতঙ্কিত, অসহায় এবং ভয়ার্ত হয়ে রয়েছেন।
অন্য খবর দেখুন