মুম্বই: ট্রলি ব্যাগে প্রথমে ছিল চার বছরের ছেলের দেহ। তার উপরে জামাকাপড়, তারও উপরে ছেলের সমস্ত খেলনা। যাতে প্রথম দর্শনে ব্যাগের ঢাকনা খুললে বোঝা না যায়। পুলিশ জানিয়েছে, উপরচোখে দৃষ্টিবিভ্রম ঘটাতে এভাবেই গোপনে মৃত ছেলেকে নিয়ে গোয়ার হোটেল ছেড়ে মধ্যরাতে বেঙ্গালুরু পালাচ্ছিলেন এআই কোম্পানির মালকিন সূচনা শেঠ।
বেঙ্গালুরুর স্টার্টআপ সিইও সূচনা গত ১২ অক্টোবর তাঁর শেষ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লিখেছিলেন, ‘হোয়াটউইলহ্যাপেন’। অর্থাৎ এরপর কী হবে? উপরের ছবিটি ছিল একটি অ্যাকুরিয়ামের সামনে ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সেই পোস্টটি এখন বন্যার মতো ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: সুজিতের কাছে কী কী জানতে চাইল ইডি?
দুজন লিখেছেন, তাঁরা সূচনার প্রতিবেশী। তাঁরা দেখেছেন, ৩৯ বছর বয়সি এই মহিলা ছেলেকে কী অসম্ভব ভালোবাসতেন। সব সময় ছেলেকে আগলে আগলে রাখতেন। ছেলের শ্বাসজনিত একটি সমস্যা ছিল বলে সব সময় তা নিয়ে চিন্তায় থাকতেন। আর একজন লিখেছেন, বাচ্চাটিও ছিল খুব ভদ্র-মার্জিত ও মিষ্টি ছেলে। সূচনাও ছেলেকে যত্ন-ভালোবাসায় মুড়ে রেখেছিলেন। দুজনেই খুব মিষ্টি স্বভাবের বলে তাঁর দাবি।
আর একজন নিজেকে সূচনার প্রতিবেশী বলে দাবি করে লিখেছেন, মাত্র তিনমাস ওর কাছাকাছি ছিলাম। আমি বিশ্বাস করতেই পারছি না যে, সূচনা কখনও ওর ছেলেকে একটা চড়ও মারতে পারে। তাঁর কাছে এই ঘটনা উপন্যাসের গল্পের থেকেও অবাক করার মতো। তাঁরা দুজনেই বাঙালি বলে মাঝেমধ্যে রান্না খাবার বিনিময় করতেন। তাঁর কথাতেই রয়েছে, সূচনা বইয়ের পোকা ছিলেন এবং বিভিন্ন ধরনের বইয়ের বিরাট সংগ্রহ ছিল।
আজ, শুক্রবার সূচনা শেঠকে নিয়ে গোয়ার ওই হোটেলে আসার কথা পুলিশের। কিন্তু সূচনা গোয়ার হোটেলে যেতে নারাজ। খুনের তদন্তে পুনর্গঠন একটি জরুরি প্রক্রিয়া। কিন্তু, সূচনার অনীহার কারণে সেটা আদৌ সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে পুলিশ দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
অন্য় খবর দেখুন