“যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক দু’দিক দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। পরিবহন সচিবের নেতৃত্বে, কমিটি গঠন করা হয়েছে। একপাশে জ্বালানির দাম বাড়ায় ভাড়া বৃদ্ধির কথা বলছেন বাস ও ট্রাক মালিকরা, আবার অতিমারি আবহে সাধারণ মানুষের কথাও ভাবতে হবে। যাতে তাদের ওপর আর্থিক চাপ না বাড়ে, সেই বিষয়টি দেখবে ওই কমিটি” বলে সোমবার জানান পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
আগামী পরিকল্পনা সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, “জলপথ স্থলপথ পরিবহনে আমূল পরিবর্তন করার ভাবনাচিন্তা রয়েছে। আগামী দিনে যে সমস্ত রুটে বাস চালাতে গিয়ে প্রাইভেট বাস মালিকদের ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে বাসের রুট কিছুটা পরিবর্তন করে বা রুটের এক্সটেনশন দিয়ে প্রয়োজনে পারমিট চেঞ্জ করে দেওয়া হবে। শহর কলকাতার আশপাশে এবং রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শহর এলাকার সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই সব জায়গায় বাসের সার্ভিস খুব কম বা সার্ভিস নেই বললেই চলে, সেখানে অটো এক্সটেনশন বা অটোর নতুন পারমিট দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে শুধুমাত্র ব্যাটারি অপারেটেড অটো ও সিএনজি অটোকেই পারমিট দেবে রাজ্যের পরিবহন নিগম। বিশ্বব্যাঙ্কের সাহায্য নিয়ে জলপথ পরিবহন নিয়ে আমাদের একটি বৈঠক রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে জলপথ পরিবহনকে সাজানো হবে। সরকারের যে ৪০০ বাস চলে তা বিদ্যুতে পরিবর্তিত করার পরিকল্পনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে সিইএসসির সঙ্গে কথা বলে, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে অটোর ব্যাটারি রিচার্জ করার ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। মেট্রো স্টেশনগুলি থেকে বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছনোর ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট বাস সার্ভিসের মাধ্যমে মেট্রো ফিডিং-এর ব্যবস্থা করা হবে । সে লক্ষ্যেও ইতিমধ্যে সার্ভে করা শুরু করেছেন রাজ্যের পরিবহণ দফতরের কর্তারা। আগামীদিনে অটো এবং ফেরি চলাচলেও বিদ্যুত চালিত ফেরির উপর জোর দেওয়া হবে।”
পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধিতেও সরব হয়েছেন ফিরহাদ হাকিম।
তাঁর মতে, “সরকার যদি ব্যবসায়ী মানসিকতা নিয়ে চলে তাহলে সাধারণ মানুষের খুব অসুবিধা। কেন্দ্রীয় সরকারের সেই জনবিরোধী নীতিই সমস্যার কারণ।”
যশ কবলিত এলাকায় কেন্দ্রীয় দল প্রসঙ্গে বলেন, “নরেন্দ্র মোদী যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন, তিনি রাজ্যকে বিশ্বাস করা রাজ্যকে ক্ষমতা দেওয়া নিয়ে সরব ছিলেন। সমস্যা হল উনি প্রধানমন্ত্রী হয়ে ভোলবদল করে ফেলেছেন। ফেডারেল স্ট্রাকচারে রাজ্যকে ক্ষমতা দেওয়া দরকার, বিশ্বাস করা দরকার।”
রাজ্য ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনও এদিন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এর সঙ্গে বৈঠক করেন। করোনার মতো অতিমারিতে যেহেতু খুব কম সংখ্যক ট্রাক চালাতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা, তাই ট্যাক্সের বিষয়টি খতিয়ে দেখে বা মুকুব করে, ওভারলোডিং বন্ধের বিষয়ে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে সদর্থক পদক্ষেপ নেওয়া, পাশাপাশি ট্রাক চালানোর ক্ষেত্রে যে সমস্ত প্রতিবন্ধকতা ও বিভিন্ন বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়গুলির স্থায়ী সমাধান করার বিষয়ে আলোচনা করেন তাঁরা। আগামী দিনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন ফিরহাদ।
দু’দিক দেখে সিদ্ধান্ত, সাফ জানালেন ফিরহাদ
Follow Us :