সন্তোষ ট্রফির সেমিফাইনালে বাংলার সামনে এবার মণিপুর। ২৯ এপ্রিল রাত আটটায় মল্লপুরমে বাংলা-মণিপুর সেমিফাইনাল। সেই ম্যাচ জিতলে বাংলা ফাইনালে খেলবে দোসরা মে। অন্য সেমিফাইনালে কেরালা আগেই উঠৈ বসে আছে। তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিক হবে কর্নাটক-গুজরাত ম্যাচের পর। যদি ম্যাচটিতে কর্নাটক বড় ব্যবধানে জেতে (কম করে ৩-০ গোলে) তাহলে তারাই যাবে সেমিফাইনালে। না হলে যাবে ওড়িশা।
তার আগে রবিবার গ্রুপ লিগের শেষ ম্যাচে বাংলা ৩-০ গোলে রাজস্থানকে হারিয়ে এ গ্রুপের রানার্স হয়েছে। বাংলার হয়ে গোলগুলি করেন ফারদিন আলি মোল্লা (২) এবং সুজিত সিং। তাদের চার ম্যাচ খেলে ৯ পয়েন্ট। আর গ্রুপের এক নম্বর কেরালার হয়েছে চার ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট। রবিবার গ্রুপের সবচেয়ে নীচে থাকা রাজস্থানের বিরুদ্ধে জিততে বাংলাকে তেমন বেগ পেতে হয়নি। তবে বাংলার তিনটি গোলই হয়েছে বিরতির পর। ৪৭ মিনিটে দিলীপ ওরাঁওকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন রাজস্থানের এক ডিফেন্ডার। পেনাল্টি থেকে গোল করেন ফারদিন আলি মোল্লা। ৫৯ মিনিটে বক্সের মধ্যে ঢুকে সুজিত সিং শট নিলে রাজস্থান গোলকিপার আংশিক প্রতিহত করেন। আলগা বল পেয়ে ফারদিন তা গোলে ঠেলে দেন। কালিকাপুরের ফারদিনের উঠৈ আসা ফুটবল পরিবার থেকে। তাঁর বাবা ফরিদ আলি মোল্লা রেলের প্রাক্তন ফুটবলার। ৮০ মিনিটে বাঁ পায়ের বাঁক খাওয়ানো শটে গোল করেন সুজিত সিং। মালবাজারের এই ফুটবলারটি এখনও কলকাতা মাঠে খেলেননি। উত্তর বঙ্গ কাপে তাঁর খেলা দেখে তাঁকে স্পট করেন বাংলার কোচ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এখন তিনিই বাংলাকে জেতাচ্ছেন। বাংলা ফরোয়ার্ড লাইনে দিলীপ ওরাঁও, ফারদিন আলি মোল্লা এবং সুজিত সিং নিয়মিতভাবে গোলের মধ্যে রয়েছেন। তাই বাংলা শিবিরের আশা মণিপুরকে হারিয়ে ফাইনালে উঠতে অসুবিধে হবে না। সোমবার বাংলার ফুটবলারদের সমুদ্রের ধারে বেড়াতে নিয়ে গিয়েছিলেন রঞ্জন। সেমিফাইনালে ওঠার জন্য আই এফ এ সচিব জয়দীপ মুখোপাধ্যায় দশ হাজার টাকা পাঠিয়েছেন। সেই টাকায় সমুদ্রের ধারেই নৈশভোজ করলেন ফুটবলাররা।