আলিপুরদুয়ার ও ময়নাগুড়ির পর ফের নারী নির্যাতন। এ বার মদ খাইয়ে এক কিশোরীকে অর্ধনগ্ন করার ভিডিও ভাইরাল। ঘটনাটি ঘটল ধূপগুড়িতে। অভিযুক্ত এক পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
ওই কিশোরী পঞ্চায়েত সদস্যা প্রতিমা সরকারের বাড়ি-সহ দোকানের বিভিন্ন কাজ করে এবং বেশিরভাগ সময় তাদের ওখানেই কাটায়। প্রতিমা সরকারের স্বামী পার্থ সরকারের একটি দোকান রয়েছে। সেই দোকানে তিনি মদও বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। কিছুদিন আগেই সেই কিশোরী প্রতিদিনের মতো দুপুরে তাঁদের বাড়িতে যায়। পার্থ সরকার কিশোরীর ভিডিও করতে চাইলে প্রথমে তাঁর স্ত্রী তাঁকে বাধা দেন। কিন্তু পার্থ জানান, এসব কেউ জানবে না। এরপর ঘরে থাকা মদের বোতল খুলে পার্থ তাঁর স্ত্রী ও কিশোরীকে জোর করে খাইয়ে দেন বলে অভিযোগ । তারপর কিশোরীর পরনে থাকা কাপড় খুলতে বলে। কিন্তু কিশোরী রাজী হওয়ায় তাকে চড় মারা হয়, এমনকি লাঠি দিয়ে মারারও হুমকি দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে অসহায় কিশোরী পরনে থাকা নিম্নাঙ্গের কাপড় খুলে ফেলে। এর পর তাকে হাসতে বলা হয় এবং সেই মুহূর্তের ভিডিও মোবাইলে তুলে রাখেন পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। কিছুদিন পর সেই ভিডিও এলাকায় ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিও ভাইরাল হতেই চলে অনেকের কটূক্তি। ফলে লজ্জায় ও ভয়ে বর্তমানে লোকচক্ষুর আড়ালে রয়েছে নির্যাতিতা। কিন্তু কিছু বখাটে যুবক এবং অসামাজিক লোকের জন্য বাড়িতেও থাকতে পারছেন না। কখনও পাশের বাড়ির বারান্দায়, কখনও বা জঙ্গলের মধ্যে রাত কাটাচ্ছেন কিশোরী। বাধ্য হয়ে কিশোরী বিষয়টি স্থানীয় হাট কমিটিকে জানালে তারা পাশে দাঁড়ায়। তাদের সহযোগিতায় শুক্রবার রাতে ধূপগুড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যদিও এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে জেলা জুড়ে।
আরও পড়ুন : অবৈধ সম্পর্কের শাস্তি, মহিলার চুল কেটে নিল স্থানীয়রা