উত্তর প্রদেশঃ শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মেডিক্যাল কলেজের এনআইসিইউ-তে শুক্রবার আচমকাই আগুন লেগে যায়। আগুনের লেলিহান শিখায় ঝলসে মৃত্যু হয় ১০ শিশুর। ঘটনার জেরে আহত অনেকেই। আর এবার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর প্রদেশ সরকারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
শুক্রবার রাত ১০টা নাগাদ ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজে লাগে বিধ্বংসী আগুন। জানা যায়, নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে লাগে আগুন। হাসপাতালের ভিতর তখন উপস্থিত ছিল ৪৭ জন শিশু। দমকল পৌঁছনোর আগেই এনআইসিইউ-র কাচ ভেঙে উদ্ধারকার্যে নামেন হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা। পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় দমকলের ৬টি ইঞ্জিন। উদ্ধার করা হয় ৪৫ জন শিশুকে। যার মধ্যে ১৬ জন শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় প্রথমবার নেই বাংলাদেশ!
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার উত্তর প্রদেশের মুখ্যসচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি পাঠিয়ে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পুরো ঘটনার বিস্তারিত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পক্ষ থেকে শনিবার এক বিবৃতি জারি করে জানানও হয়, ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাঈ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।
আগুন লাগার ঘটনায় ইতিমধ্যেই হাসপাতালের বিরুদ্ধেই গাফিলতির অভিযোগ সামনে আসছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা, সবকিছু নিয়েই উঠছে বিস্তর প্রশ্ন। প্রাথমিক তদন্তে মনে করা হচ্ছে শর্ট সার্কিট থেকে হাসপাতালের নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট-এ আগুন লেগে যায়। কিন্তু সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ কমিশন। অন্যদিকে অগ্নিকাণ্ডের জেরে পুরো ঘটনার দায়ে নিজের কাঁধে নিতে অস্বীকার করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয় কীভাবে আগুন লেগেছিল। ঘটনার বিস্তারিত তদন্তের জন্য এবং পুঙ্খানুপুঙ্খ রিপোর্ট মানবাধিকার কমিশনকে পেশ করার জন্য ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কমিটি।
দেখুন অন্য খবর