স্ত্রী’কে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করল স্বামী। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন স্ত্রী সোমা রানা। নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ি থানার সিংগাই গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে বচসা শুরু হয়। ক্রমশ তা ঝগড়ার আকার নেয়। ঝগড়ার মধ্যে হঠাৎই মদ্যপ গোপী রানা কুড়ুল নিয়ে চড়াও হয় স্ত্রীর উপর। কুড়ুল দিয়ে স্ত্রী’কে কোপাতে থাকে সে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়, স্ত্রী সোমা রানার(২৪)। এরপর পালানোর চেষ্টা করে গোপী রানা। কিন্তু, নেশাগ্রস্থ থাকায় বেশিদূর যেতে পারেনি সে। গ্রামের প্রান্তে তাকে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। গাছে বেঁধে চলে গণধোলাই। এরপর পুলিশ এসে গোপীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন : গোয়ালঘর থেকে উদ্ধার রক পাইথন
8 বছর আগে কেশিয়াড়ির সিংগাই গ্রামের সোমা রানার সঙ্গে বিয়ে হয়, বেলদা থানার মাতকাতপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপী রানার। দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। এরইমধ্যে আবার অন্তঃসত্ত্বা হন সোমা। প্রায়ই শ্বশুরবাড়িতে থাকত গোপী। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মাঝেমাঝেই মদ খেয়ে স্ত্রী’র সঙ্গে অশান্তি করত গোপী। শনিবার দুপুরে স্বামী-স্ত্রী’র মধ্যে ঝগড়া চরমে ওঠে। তখনই কুড়ুল দিয়ে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নৃশংসভাবে আঘাত করতে শুরু করে গোপী। কুড়ুলের আঘাত সহ্য করতে না পেরে ঘটনাস্থলেই মারা যান সোমা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। মৃতের মা লক্ষ্মী রানা বলেন, মেয়ের খুনীর চরম শাস্তির দাবি করেছেন। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেশিয়াড়ি থানার আইসি।