ঘাটাল: আবারও পশ্চিম মেদিনীপুরে বন্যা পরিস্থিতি৷ শুক্রবার ভোরে চন্দ্রকোণার শিলাবতী নদীর বাঁধ নতুন করে ভেঙে যায়। ফলে, প্লাবিত আরও ১২ টির বেশি গ্রাম৷ ঘাটাল মহকুমা জুড়ে শিলাবতী, ঝুমি নদীর জলস্ফিতীর কারণে পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে শুরু করেছে৷ এর মধ্যেই ঘটে গিয়েছে বেশ কিছু দুর্ঘটনা।
মনসুকাতে দীর্ঘদিন জলে ডুবে থাকার পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়েছে দোতলা পাকা বাড়ি৷তবে, ওই বাড়ির লোকেরা সেখানে না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। অন্যদিকে ঘাটাল পৌরসভা এলাকাতে ৬ নম্বর ওয়ার্ডে বাড়ির সামনের জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে ৬ বছরের বালকের৷ নাম সৌম্যদীপ চালক৷ ওই শিশুর বাবা শ্রীহরি চালক খাওয়ার জল আনতে বেরিয়ে ছিলেন৷ মা -এর অলক্ষ্যে শিশুটি বাড়ির সামনেই জলে ডুবে মারা গিয়েছে৷
বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুরে ১৭১ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে৷ অতি বৃষ্টির কারণে ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে৷ দুদিন ধরেই ঘাটালে থাকা শিলাবতী, ঝুমি নদী ও কেঠিয়া খালের জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে৷ ফলে প্লাবিত পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছিল। এরপর শুক্রবার ভোরে চন্দ্রকোনার খামারবেড়া গ্রামে শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে যায়। ফলে বিপাকে এলাকাবাসী।
আরও পড়ুন – স্বস্তির খবর, কমানো হল ব্যারাজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ
ঘাটাল মহকুমার বহু গ্রামীন সড়ক জলে ডুবে গিয়েছে৷ ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা৷ বেলা বাড়লে প্লাবিত পরিস্থিতি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। গ্রামবাসীদের উদ্ধার করে বিভিন্ন ত্রান শিবিরে পাঠানো শুরু হয়েছে৷
আরও পড়ুন – শিলাবতী নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণা
জেলার মেদিনীপুর সদর ব্লকে কংসাবতী নদীর পাড় ধ্বসের কারনে শুক্রবার সকাল থেকে বহু চাষ জমি নদী গর্ভে নষ্ট হতে শুরু করেছে। এছাড়াও জেলার কেশপুর, সবং পিংলা ব্লকও বন্যা পরিস্থিতিতে রয়েছে ৷ শুক্রবার পর্যন্ত জেলাতে প্লাবন দুর্গতের সংখ্যা সাড়ে সাত লক্ষ মানুষ, বাড়ি নষ্ট হয়েছে প্রায় ৮৮ হাজার, মৃত্যু হয়েছে ২১ জনের৷ জেলাতে ত্রান শিবির রয়েছে ১৫১ টি৷ এই ত্রান শিবির গুলিতে রয়েছে প্রায় ৯ হাজার মানুষ ৷