Friday, June 27, 2025
Homeজেলার খবরবচসার জেরে এক বছর ধরে "একঘরে" ৭ টি পরিবার

বচসার জেরে এক বছর ধরে “একঘরে” ৭ টি পরিবার

Follow Us :

ডেবরা : এক বছর ধরে সামাজিক বয়কটের শিকার। একঘরে করে রাখা হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ডেবরা ব্লকের ৩ টি পরিবারকে। পানীয় জল আনতে যেতে হয় ৩ কিলোমিটার দূর থেকে, ধান কাটতে যেতে হচ্ছে ৫ কিলোমিটার দূরে। গ্রামের মন্দিরে ওঠা বারণ, গ্রামের দোকানে যাওয়া বারণ, এমনকি বিয়েবাড়ি কিংবা অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। চাষের কাজ বন্ধ গত একবছর ধরে। এমনটাই অভিযোগ ওই পরিবারগুলির। এমনকি, অন্য পরিবারের কেউ যদি তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন বা বাড়িতে যান, তাঁদেরকেও সামাজিক বয়কটের শিকার হতে হচ্ছে বলে জানালেন এক গ্রামবাসী। মধ্যযুগীয় এই ফতোয়ার কথা সংবাদমাধ্যমে উঠে আসার পরেই নিন্দার ঝড় সর্বত্র। জানা গেছে, দীর্ঘ প্রায় এক বছর ধরে সামাজিক বয়কটের শিকার ডেবরা ব্লকের ১০/১ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কালুয়া আকুব গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণেন্দু দাস গোস্বামী ও নকুল হাইতের পরিবার। ৬ মাস সামাজিক বয়কটের শিকার নারায়ণ চন্দ্র গাঁতাইত, বাদল গাঁতাইত, আশোক গাঁতাইত, অজিত গাঁতাইত, আসিত গাঁতাইতের পরিবার। কৃষ্ণেন্দু দাস গোস্বামীর দাবি, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব ও গ্রামের মানুষ তাঁর পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করে রেখেছে। তাঁর দাবি, গ্রামের এক রাস্তা তৈরিকে কেন্দ্র করে গ্রামের মানুষের সঙ্গে তাঁর বচসা বাঁধে এবং তারপর থেকেই প্রায় এক বছর ধরে তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে সামাজিক ভাবে বয়কট করে রেখেছে গ্রামের মানুষরা।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নতুন রাস্তা হওয়ার জন্য দুই জমির মালিককে রাস্তার জন্য জমির কিছুটা অংশ দিতে হবে বলে দাবি জানিয়েছিল শাসকদলের ঘনিষ্ঠরা। জমির মালিক কৃষ্ণেন্দু দাস গোস্বামী ও নকুল হাইত জানান, ‘আমরা রাস্তার জন্য জমি দেব। তবে দুই পাশের জমি নিতে হবে। একপাশের জমির অংশ এতটা কেন।’ এই নিয়ে শুরু হয় গ্রামবাসীদের মধ্যে বচসা। সেটাকে কেন্দ্র করে ওই গ্রামের দুটি পরিবারকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানানোর পরেও কোন সুরাহা হয়নি। বরং ওই পঞ্চায়েতের কাছ থেকেও দুটি পরিবারকে বঞ্চনার শিকার হতে হয় বলে অভিযোগ। বয়কটের শিকার একটি পরিবারের গৃহকর্ত্রী ভবানী হাইত অভিযোগ করেন, ‘আমার দুটি মেয়ের বিয়ে দিতে গেলে, বারংবার বিয়ে আটকে দেয় ওই গ্রামের কিছু মানুষ। এমনকি আমাদের একশো দিনের কাজ থেকেও বঞ্চিত করা হয়, আমাদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ির জন্য বালি নিয়ে আসতে দেওয়া হয়নি।’ কৃষ্ণেন্দু’র স্ত্রী সবিতা গোস্বামীর অভিযোগ, ‘আমাদের একবছর ধরে একঘরে করে রাখা হয়েছে। মেয়ের অন্নপ্রাশনের অনুষ্ঠানও করতে দেওয়া হয়নি।’ এরই মধ্যে আর একটি নতুন রাস্তার জন্য ওই একই ভাবে জমি দিতে হবে বলে জানানো হয় কয়েকটি পরিবারকে। জমির মালিক জমি দিতে না চাওয়ায় তাঁদেরও বিভিন্ন সরকারি ও সামাজিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অসিত কুমার গাঁতাইত নামে এক ব্যক্তির অভিযোগ, ‘গত ৫ থেকে ৬ মাস ধরে চাষবাস করতে দেওয়া হয়নি। বয়কট করে রেখেছে।’ সব অভিযোগ উড়িয়ে গ্রাম পঞ্চায়েত গোবিন্দ সামাইয়ের দাবি, ‘সামাজিক বয়কটের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, আমরা এই বয়কট কোনভাবে বরদাস্ত করি না। বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করার জন্য ওনাদের ডাকা হলে উনারা আলোচনা সভায় উপস্থিত না হয়ে, বিভিন্ন জায়গায় এই ভাবে অভিযোগ জানান।’

RELATED ARTICLES

Most Popular

Video thumbnail
Mamata Banerjee | কাঁথিতে জনপ্লাবনে ভাসলেন মুখ্যমন্ত্রী, মাথায় হাত শুভেন্দুর
01:22:20
Video thumbnail
Tanmoy Bhattacharya | সাসপেনশন তুলল দল, কী বললেন তন্ময় ভট্টাচার্য?
01:23:20
Video thumbnail
NASA | Space | মহাকাশ থেকে বার্তা ভারতীয় নভোচর শুভাংশু শুক্লার, কী বার্তা দিলেন?
24:00
Video thumbnail
Bihar Election | Nitish Kumar | বিহারে সব আসনে ল/ড়বে পিকের দল, ভয় পাচ্ছে বিজেপি? কী হবে নীতীশের?
02:10:26
Video thumbnail
Digha Jagannath Temple | ১৫ দিন পর খুলল দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহের দরজা
03:45:51
Video thumbnail
Rajnath Singh | চিন সফরে প্রতিরক্ষামন্ত্রী, 'স/ন্ত্রা/সবাদ সহ্য করব না', বি/স্ফো/রক রাজনাথ সিং
01:58:51
Video thumbnail
BJP | বিজেপির অন্দরে ফের কোন্দল, এবার কী নিয়ে? দেখুন এই ভিডিও
02:36:45
Video thumbnail
Weather Update | শক্তি বাড়াচ্ছে নিম্নচাপ, জারি হাই-অ্যালার্ট, সপ্তাহ জুড়ে ভাসবে কোন কোন জেলা?
02:04:45
Video thumbnail
Donald Trump | ট্রাম্পের আচরণে NATO জোটে বিভেদের ছায়া, কী হতে চলেছে? দেখুন স্পেশাল রিপোর্ট
03:26:35
Video thumbnail
TMC-CPIM | পানিহাটিতে তৃণমূল-সিপিএম সংঘ/র্ষ, ধুন্ধুমা/র পরিস্থিতি, দেখুন ভিডিও
41:40

Deprecated: Automatic conversion of false to array is deprecated in /var/www/ktv/wp-content/themes/techinfer-child/functions.php on line 39