বহরমপুর: নওদায় নিখোঁজ প্রার্থীদের খুঁজে বের করতে বোর্ড গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের। আগামী ১১ অগাস্ট বোর্ড গঠনের দিন নির্বাচিত জয়ী প্রার্থীদের খুঁজে বের করে নওদা বিডিও অফিসে হাজির করতে এসপি কে নির্দেশ দেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। সেই সঙ্গে প্রার্থীদের এবং তাঁদের অবিলম্বে আলাদা আলাদা ভাবে পুলিশি সুরক্ষা দিতেও নির্দেশ দেন তিনি। উল্লেখ্য এই নির্দেশকে কার্যকরী করে এসপিকে আগামী ১০ অগাস্ট রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
গত ৩ আগস্ট বহরমপুরের একটি হোটেল থেকে কংগ্রেস ও আরএসপি দলের মোট ১৩ জন বিজয়ী প্রার্থীর মধ্যে ৩ জনকে কিডন্যাপ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। জয়ী প্রার্থীদের নিরাপত্তার দাবি চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল স্থানীয় নেতৃত্ব। সেই মামলারই শুনানি হয় জয় সেনগুপ্তের এজলাসে। এদিকে এদিনই অপহরণ হওয়া প্রার্থীদের ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ক্ষোভে ফেটে পড়ল স্থানীয় কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকেরা। বৃষ্টির মধ্যেই রাস্তার মধ্যে বসে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
গত 3 রা আগস্ট রাত্রে বহরমপুরের রেল স্টেশন সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে অপহরণ করা হয় বলে অভিযোগ। সূত্রের খবর, ২৫-৩০ জন দুষ্কৃতী হাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ওই হোটেলে প্রার্থীদের অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়। তারপর বহরমপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সেতু থেকে ছুড়ে কিশোরীকে খুনের চেষ্টা, পাইপ ধরে ১০০ ডায়াল বীরকন্যার, বিস্মিত পুলিশ
উল্লেখ্য নওদা ব্লকের চাঁদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০ টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসন কংগ্রেসের, ২টি আর এস পির এবং ৭টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ওই পঞ্চায়েতে কংগ্রেস এবং আরএসপির মোট ১৩ জন জয়ী প্রার্থী জোটের বোর্ড গঠন করতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ওই পঞ্চায়েতের ১১ জন জয়ী কংগ্রেস প্রার্থী ফলাফলের পরের দিন থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা প্রাণভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন এবং ভয়ে ওই গ্রামে ঢুকতে পারছেন না। ফলে আগামী ১১ ই আগস্ট বোর্ড গঠনের দিন তাদের উপরে হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন। সে কারণেই তারা হাইকোর্টের দারস্ত হয়েছেন।
এদিকে ওই ঘটনার পরেও বহরমপুর শহরের একটি হোটেল থেকে অপহরণের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ উঠেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। যদিও ওই তিনজন কংগ্রেস প্রার্থী পরের দিন তৃণমূলে যোগ দেন। তবুও কংগ্রেস ওই তিন প্রার্থীকে ফিরে পেতে চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।
