পূর্ব বর্ধমান: দোকানের প্লান পাস করিয়ে দেওয়ার নাম করে চল্লিশ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে। তৃণমূল পরিচালিত পূর্ব বর্ধমানের বৈকন্ঠপুর ২ নম্বর পঞ্চায়েতের সদস্য মিতা দাস এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী বিজয় সাঁই-এর থেকে টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ৷
আরও পড়ুন-এটিএমের সামনে ৪ লক্ষ টাকা লুঠ, লালবাজারের গোয়েন্দাদের হাতে গ্রেফতার ৪
এলাকার জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য দোকান সরাতে ব্যবসায়ী বিজয় সাঁই-কে চিঠি করে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ৷ চিটি পাওয়ার পরে দোকান মালিক প্লানের নকশা তৈরি করে পঞ্চায়েত সদস্য মিতা দাসের কাছে যান৷ অভিযোগ, মিতা দাস প্লান পাস করিয়ে দেওয়ার জন্য বিজয়ের থেকে চল্লিশ হাজার টাকা নেন।
আরও পড়ুন-পানিপথ থেকে টোকিও, নীরজের সোনার সফর
বিজয় বলেন, ভোটের দুই মাস আগে চল্লিশ হাজার টাকা দিলেও এখনও প্লান পায়নি। এ দিকে যে কোনও দিন এনএইচ কর্তৃপক্ষ তাঁর ঔষধের দোকান ভেঙে দিতে পারে৷ মিতা দাসের কাছে গেলে ঘর ঢালাই করে নিতে বলেন৷ পরে কোনও সমস্যা হলে সামলে নেওয়ার আশ্বস দেন৷
আরও পড়ুন- সোনার ছেলেকে নিয়ে মাতলেন মোদি থেকে মমতা
সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, বিজয় সাঁই নামে কাউকে চিনি না। আমি কারো থেকে কোনও টাকা নিইনি। পঞ্চায়েত কোনও প্লান পাস করায় না। পরক্ষণে মিতা দেবী বলেন, বিজয়বাবুর ওই জায়গাটি অবৈধ। আমাকে চক্রান্ত করে ওই এলাকার কিছু অসাধু তৃণমূল কর্মী ফাঁসানোর চক্রান্ত করছে। মিতা দেবীর সমস্ত অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহের বিরুদ্ধে৷
আরও পড়ুন- ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা দিয়ে ডাক বিভাগে চাকরির একাধিক আবেদন, তদন্তে পুলিশ
স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহ অবশ্য মিতা দেবীর বিরুদ্ধে একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি তোলাবাজি নিয়ে একাধিকবার দলীয় উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলে জানান তিনি।