কলকাতা, ২৯ জুলাই: তাঁর নামে দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটে কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। মিলেছে সোনার বাট থেকে বহু মূল্যের গয়না। বিদেশি মুদ্রা। বাদ যায়নি জমির দলিল। এবার খবরে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বহু মূল্যের গাড়ি। কিন্তু, গাড়ির খোঁজ পাওয়ার থেকেও বড় খবর, টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটিতে অর্পিতার ফ্ল্যাটের গ্যারাজে থাকা পাঁচটি বিলাসবহুল গাড়ির মধ্যে চারটির খোঁজ না পাওয়া যাওয়া। পরে তার থেকে দুটি র খোঁজ মেলা। ইডি-র দাবি, উধাও হওয়া গাড়িগুলির মধ্যে ছিল একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, অডি, একটি হন্ডা সিটি এবং একটি হন্ডা সিআরভিও। পরে অডি এবং হন্ডা সিটির খোঁজ মেলে।
ইডির তরফে জানানো হয়েছে, তল্লাশির দিন রাতে আবাসন সংলগ্ন গ্যারেজ থেকে শুধুমাত্র একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ উদ্ধার হয়েছিল। কিন্তু, সংশ্লিষ্ট বহুতলে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের নামে চারটি গাড়ি পার্ক করা থাকত পার্কিং লটে। একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ এবং একটি হন্ডা সিটি-সহ মোট চারটি বিলাসবহুল গাড়ি ছিল সেখানে। তদন্তে নেমে প্রশ্ন উঠেছে, আদতে কোথায় গেল এই বিলাসবহুল গাড়িগুলি ? দুটি গাড়ি পাওয়া গেলেও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছুই বলেনি ইডি।
প্রসঙ্গত, বারুইপুরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের যে বাগানবাড়ি বলে দাবি করছে স্থানীয়রা সেখানেই চুরির ঘটনা ঘটে গত বুধবার। সে দিন রাত ১টা নাগাদ চারজন দুষ্কৃতী একটি গাড়িতে ওই বাগানবাড়িতে তালা ভেঙে ঢোকে। বেশ কিছু জিনিস বের করে নিয়ে যায় বলে জানান স্থানীয়রা। এরপর ওই গাড়িতেই পালিয়ে যায় তারা। অভিযোগ, গোটা বিষয়টি নজরে পড়ে এলাকাবাসীর। তাঁরা বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁদেরকেও হুমকি দেয় বলে খবর।
টালিগঞ্জের ডায়মন্ড সিটিতে অর্পিতার এই আবাসনেই প্রথম তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। অর্পিতার এই ফ্ল্যাটেই ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছিল। পাওয়া গিয়েছিল শিক্ষা দফতরের কয়েকটি খাম। এ বার টালিগঞ্জের সেই ফ্ল্যাট থেকেই ‘রহস্যজনক ভাবে’ উধাও অর্পিতার চারটি গাড়ি। তদন্তকারীরা জানান, ওই ফ্ল্যাটের গ্যারাজে এখন একটি মাত্র গাড়ি ছিল। বাকি চারটি গাড়ি কারা নিয়ে গেল, গাড়িতে করে কিছু পাচার করা হয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা শুরু হয়। পরে খোঁজ মেলে দুটি গাড়ির।