বাঁকুড়া: মদ, গাঁজা খেয়ে ও টাকার বিনিময়ে মণ্ডল সভাপতির পদ দিয়েছেন। জেলা বিজেপি সভাপতির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন দলের এক পঞ্চায়েত সদস্য। এই ঘটনায় এবার জঙ্গলমহলেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। কিছুতেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পিছু ছাড়ছে না বিজেপিকে। বারবার কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে মণ্ডল সভাপতির পদ ঘোষণার পর থেকেই। বিষ্ণুপুরের পর এবার জঙ্গলমহলেও মণ্ডল সভাপতি নিয়ে সামনে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
কিছুদিন আগে বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর এই দুটি সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির নতুন মণ্ডল সভাপতিদের নাম ঘোষণা হয়। সেই ঘোষণার পর দলের কর্মী ও নেতাদের একটা বড় অংশ জেলার নেতা ও বিধায়কদের বিরুদ্ধে প্রকাশ্য মুখ খুলছেন। বিষ্ণুপুরের সাংগঠনিক জেলার পাত্রসায়র মণ্ডল সভাপতি নিয়ে প্রথম প্রকাশ্যে আসে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যেখানে সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলে দলের বিধায়ক, সাংসদ ও সভাপতির বিরুদ্ধে টাকা দিলে বিজেপির পদ পাওয়া যায় বলে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছিলেন পাত্রসায়রের বিদায়ী মণ্ডল ২ সভাপতি তমালকান্তি গুঁই।

সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খোলায় রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কোপের মুখেও পড়েন তিনি। এবার বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলার রানিবাঁধেও দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল।
রানিবাঁধ উত্তর মণ্ডলের সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তপন মাহাতোকে। এই দায়িত্ব দেওয়ার পরে রানিবাঁধ উত্তরের অম্বিকানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম মাহাতো মুখ খুলেছেন। তাঁর অভিযোগ জেলা সভাপতি মদ, গাঁজা খেয়ে কিংবা অর্থের লেনদেনে এমন লোককে মণ্ডল সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন। তপন মাহাতোকে পদ থেকে না সরালে জঙ্গলমহলে বৃহত্তর আন্দোলন চলবে বলেও জেলা সভাপতিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত সদস্য।
এ বিষয়ে বিক্ষুব্ধদের দলে উপযুক্ত জায়গা দেওয়ার চিন্তাভাবনা চলছে বলে জানিয়েছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। অন্যদিকে, দলের কর্মীরা বুঝতে পেরেছে বিজেপি দল কীভাবে চলছে। এভাবেই বিজেপি দলটা শেষ হয়ে যাবে বলে কটাক্ষ করেছেন জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ ও তৃণমূল নেতা শিবাজি বন্দ্যোপাধ্যায়।