বসিরহাট: বসিরহাটে গৃহবধূর গায়ে আগুন লাগিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। নেপথ্যে, চাহিদামতো পণ দিতে না পারা। ওই গৃহবধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই একাধিকবার টাকা ও জিনিসপত্র চেয়ে চাপ দিত শ্বশুর-শ্বাশুড়ি। না দিতে পারায় পিটিয়ে খুন করে প্রমাণ লোপাটের জন্য গায়ে আগুন লাগিয়ে দেয় তারা। অগ্নিদগ্ধ দেহটিকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার পর থেকেই পলাতক অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়ি।
বসিরহাটের হাড়োয়া থানার কুচিয়ামোড়া গ্রামের ঘটনা। পুলিস জানায়, মৃতার নাম আল্পনা মণ্ডল। বয়স ২৪। মৃতার পরিবার সূত্রে খবর, তিন বছর আগে দেখাশোনা করে কুচিয়ামোড়ের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ মণ্ডলের সঙ্গে মেয়ের বিয়ে দেন তাঁরা। বিয়েতে দাবি মতো অনেক যৌতুক দেওয়া হয়েছিল। অভিযোগ, বিয়ের পর প্রতিদিনই টাকা ও জিনিসপত্র দেওয়ার দাবি জানাত শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। সম্প্রতি একটি ফ্রিজ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সেই দাবি না মানায় প্রায় প্রতিদিন মেয়ের উপর পাশবিক অত্যাচার চালাত তারা।
বুধবার আবারও বাবার বাড়ি থেকে ফ্রিজ নিয়ে আসার দাবি জানিয়ে শুরু হয় বচসা। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, দাবিতে রাজি না হওয়ায় গৃহবধূকে ব্যাপক মারধর করা হয়। রান্নাঘরে ঢুকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করে শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি। তারপর প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পুলিস মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন: Bowbazar: মেট্রোর কাজের জেরে বউবাজারে একাধিক বাড়িতে ফাটল, আড়াই বছর পর ফিরল সেই আতঙ্ক
মৃতার বাবা শ্বশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে খুন ও প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন হাড়োয়া থানায়। ঠিক কী কারণে ওই মহিলাকে খুন করা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিস। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে মৃতার পরিবার।